এদিন কলকাতা হাইকোর্টে রেখার আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার জানান, বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা করা হয়েছে। আসলে সন্দেশখালির মহিলাদের উপর অত্যাচার ও জমি দখলের প্রতিবাদ করার জন্যেই ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র জন্য এই মামলা করা হয়েছে। আদালতে তিনি সওয়াল করেন, তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিকের বাড়িতে হামলার ঘটনাতে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে রেখা পাত্রকে। রেখা পাত্রের নামে দিয়ে এইআইআর করা হয়। সেই এফআইআর খারিজ এবং নিরাপত্তার আর্জি জানান রেখার আইনজীবী।
এদিকে,রাজ্যের আইনজীবী এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জানান, ‘অস্ত্র উদ্ধার হলেও অভিযুক্তদের ধরা যায়নি। পুলিশ নিজে মামলা শুরু করেছে।’ আদালত পালটা জানায়, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। এতদিনেও অভিযুক্ত ধরা পড়ল না। অথচ অস্ত্র উদ্ধার হল। কারা থানার সামনে থেকে ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করল পুলিশকে তাদের খুঁজে বের করতে হবে। আবার দিলীপ মল্লিকের বাড়িতে হামলা কারা করলো তাও খুঁজে বের করতে হবে পুলিশকে।’
আপাতত ১২ জুন পর্যন্ত FIR স্থগিত করল হাইকোর্ট। আগামী ১২ জুন পরবর্তী শুনানি। তবে ১৪ জুন পর্যন্ত রেখা পত্রের বিরুদ্ধে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, এই মাসের শুরুতেই সন্দেশখালি নিয়ে একের পর এক স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো (যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। এই ভিডিয়োকে ভুয়ো বলে দাবি করেন অভিযুক্ত বিজেপি মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল। এর প্রতিবাদে রেখা পাত্র-র নেতৃত্বে সন্দেশখালিতে ফেরে আন্দোলনে নামে বিজেপি মহিলা কর্মী, সমর্থকরা। তবে ভোটের আগে রেখা পাত্রের এই রক্ষাকবচ গেরুয়া শিবিরকে অনেকটাই স্বস্তি দিল বলে মনে করা হচ্ছে।