সাতসকালে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা
স্থানীয়দের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ দুর্গাপুরের ডিপিএল-এর রাস্তা ধরে প্রচণ্ড গতিতে ছুটে যাচ্ছিল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার একটি বাস। বাসটি যাচ্ছিল SBSTC-র গ্যামনের সংস্থার কার্যালয়ের দিকে। সেই সময় স্কুটি নিয়ে দুর্গাপুরের ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল প্রামাণিকও গ্যামনের দিকেই যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, তখনই বেপরোয়া গতিতে থাকা সরকারি বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটি আরোহীকে ধাক্কা মার। ধাক্কার পর স্কুটি সহ আরোহী বাসের পিছনের চাকায় আটকে যান। যদিও বাসটি তারপরেই থামেনি বলে অভিযোগ। ওই অবস্থাতেই বাসটি না থেমে শ্যামলকে প্রায় ৫০০ মিটার টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। বাসটি এসবিএসটিসি কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকার সময় বাইরে পড়ে যায় শ্যামল প্রামাণিকের রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শ্যামলের। তখনও বাসের পিছনে আটকে ছিল স্কুটিটি। স্কুটি নিয়েই বাসটি এসবিএসটিসি কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে পড়ে।
SBSTC-র কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ
সরকারি সংস্থার কার্যালয়ের সামনে পৌঁছতেই পালিয়ে যান চালক এবং খালাসি। এদিকে বিষয়টি নজর আসার পরেই এসবিএসটিসি-র কার্যালয়ের সামনে হাজির হয় উত্তেজিত জনতা। চালক মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছিল বলেই অভিযোগ তোলে ক্ষুব্ধ জনতার একাংশ। স্থানীয়রা জানান, প্রতিনিয়ত যে ভাবে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসগুলি বেপরোয়া গতিতে যাতায়াত করে তাতে তাঁরা আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। যতক্ষণ না ওই চালককে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ তাঁদের বিক্ষোভ চলবে বলেও জানিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণ দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড় থেকে দুর্গাপুর স্টেশনগামী রাস্তা অবরূদ্ধ থাকে। এধিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোকওভেন থানার পুলিশ। তখন পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু হয়। যদিও প্রায় এক ঘণ্টা পরে পুলিশি আশ্বাসে বিক্ষোভ থেকে সড়ে যান স্থানীয়রা। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।