পরে পুলিশের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ এনেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী পরে বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’ তাঁর মা-বাবাকে হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে কোলাঘাটের শুভেন্দুর ওই বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখানে প্রায় ৭০-৮০ জন পুলিশ কর্মী বাড়ি ঘিরে রাখে। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেখানে ছুটে আসেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। তাঁদের সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারীকে খবর পাঠানো হয়। রাজনৈতিক প্রচার সভা ছেড়ে সেই বাড়িতে আসেন শুভেন্দু। সেখান থেকেই পরে তিনি কোলাঘাট থানায় যান।
শুভেন্দু বলেন, ‘আমার কোলাঘাটে একটি ভাড়া নেওয়া বাড়ি আছে। সেখানে ভাড়া নিয়ে থাকি। কিছু রিফ্রেশমেন্টের জন্য সেই বাড়ি ভাড়া নেওয়া আছে। এছাড়া অনেক লোক দেখা করতে আসেন, সেই কারণে বাড়ি ভাড়া নেওয়া আছে। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে সরকারি গেস্ট হাউস নিতে পারি। কিন্তু সেটা আমি নিইনি।’ শুভেন্দুর সেই বাড়িতেই এদিন হানা দিয়েছিল পুলিশ। শুভেন্দু অধিকারী এদিন আরও বলেন, ‘আমার কাছে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ আছে। পুলিশ আমার বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না।’ কোলাঘাট থানা থেকে তিনি পরে ফের তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরে যান।
উল্লেখ্য, আগামী ২৫ মে তাঁর জেলায় অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কাঁথি, তমলুক কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। এই জেলার কাঁথি কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী এবং তমলুক কেন্দ্র থেকে লড়াই করছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তার আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিযাকারীর ভাড়া নেওয়া বাড়িতে এই তল্লাশি অভিযান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।