সেখানে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারকে তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করে বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে পাঁচ সপ্তাহ সময়ও বাঁকুড়া লোকসভার কোনও বিস্তীর্ণ এলাকায়, বুথে, বিধানসভায়, অঞ্চলে, গ্রামে দেয়নি। এখন ভোট ঘোষণা হতেই সুভাষ সরকার এসে কারও জুতো পালিশ করছে, কাউকে মগে করে জল ঢেলে দিচ্ছে। আমি মায়েদের বলব, এদের দিয়ে শৌচালয়টাও পরিষ্কার করাবেন। দরকার হলে ডেকে বাড়ির বাসন মাজাবেন। আর এদেরকে বলবেন, ভোট তোমাকেই দেব। আপনাকে ঠকিয়েছে তো পাঁচ বছর। আপনিও এদের ঠকাবেন। আর আগামী ২৫ তারিখ এক নম্বর বোতাম টিপে অরূপ চক্রবর্তীকে ভোট দিয়ে প্রতিশোধ নেবেন বাঁকুড়ার প্রতি বঞ্চনার।’
বিজেপি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে চায় বলে এদিনও সরব হন অভিষেক। বলেন, ‘আমি প্রকাশ্যে বলে দিয়ে যাচ্ছি, সুভাষ সরকার আর বিজেপির কোনও নেতা, বুথের কর্মী যখন আপনার বাড়িতে, পাড়ায়, এলাকায় ভোট চাইতে যাবে, এদের গাছে বেঁধে জিজ্ঞেস করবেন তোমাদের নেতা-কর্মীরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে চায়, তোমাদের দলের অবস্থান কী। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, যতদিন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা এই বাঁকুড়া জেলায় থাকবে, আর অরূপ চক্রবর্তী জিতবে, যতদিন বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের মা-মাটি-মানুষের সরকার থাকবে আপনার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আমরা বুক দিয়ে আগলে রাখব, কেউ আপনার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্পর্শ করতে পারবে না, আমাদের গ্যারান্টি।’
এর প্রতিক্রিয়ায় সুভাষ সরকার বলেন, ‘যাঁদের বারবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে রক্ষাকবচ নিতে হচ্ছে তাঁদের মুখে এসব কথা মানায় না। যখন তখন জেলের ভাত খাওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে।’ বাঁকুড়ার মানুষের পাশে তিনি বরাবর থেকেছেন দাবি করে বলেন, ‘মানুষ যেভাবে সাড়া দিচ্ছে তাতেই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, ডাক্তার সরকার তাদের সুখে দুঃখে সবসময় থেকেছে। এটাও প্রমাণ করে দিয়েছি যে, আমার আগের ১৬ বারের জয়ী সাংসদদের কাজের যোগফলের থেকে আমি বেশি কাজ করেছি।’
এদিন বিকেলে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের সমর্থনে সোনামুখীতে জনসভা করেন অভিষেক। এখানেও বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকে কড়া আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, ‘নির্বাচনে জেতার পর গত পাঁচ বছরে পাঁচ সপ্তাহও বাঁকুড়ায় কাটায়নি। কোভিডের সময়ে আমাদের প্রতিনিধিরা আপনাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। ঝড়, জল, গ্রীষ্ম, বর্ষায় তৃণমূলকে পাশে পেয়েছেন, বিজেপির কোনও প্রতিনিধিকে পাননি।’