তাঁর সংযোজন, ‘যারা মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি তাদের তালিকা আমার কাছে আছে। পরিণতি খুব খারাপ হবে। সারা বছর রাজনীতি করুন, মানুষের জন্য কাজ করুন। মানুষকে ভোট দেওয়া থেকে যদি আটকান তাহলে তা মেনে নেব না।’ নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কাকে প্রার্থী করেছে দেখেছেন? সেই ভদ্রলোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটু কথা বলছেন।’
তাঁর সংযোজন, ‘কাল একটা জায়গায় পুলিশ সার্চ করতে গিয়েছে। কেঁপে কেঁপে উঠছে। কেন যাবে সার্চ করবে? এসব জিজ্ঞাসা করছে। বলছে ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। তাহলে এবার থেকে আমরাও বলে দিই যে ED-CBI যখন আসবে ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। যখনই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যাবে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি থাকবে। মহুয়া মৈত্রের বাড়িতে গিয়েছিল ওরা। ছিল কমিশনের প্রতিনিধি? করেছিল ভিডিয়োগ্রাফি?’
পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে অবাধে ভোটদান করতে পারে সেই প্রসঙ্গেও বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘যারা ভাবছে যে বিজেপির হয়ে ২৪ তারিখ রাত থেকে ধমকানো চমকানো শুরু করবে তাদের বলি তা সহ্য করা হবে না। কেউ অশান্তি করার চেষ্টা করলে খুন্তি, বঁটি নিয়ে তাড়া করবেন। কাউকে ছাড়বেন না। নিজের ভোট নিজেকে দিতে হবে। আর সেখানে যেন কেউ বাধা না দিতে পারে।’
এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যদি প্রমাণ করতে পারে বাংলায় হারার পর ২০২১-২৩, ২২-২৩, ২৩-২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দশ পয়সা দিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনীতি ছেড়ে দেবে চিরতরে। আগামীকাল ক্ষমতা থাকলে তিনবছরে দশ পয়সা দিয়েছে তার হিসাব দিয়ে নন্দীগ্রামে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন।’
নন্দীগ্রামের সভা থেকে ভোট নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি। কেন্দ্রে মোদী সরকারের মেয়াদ আর দশ দিন, এমনটাই জানান তিনি। তমলুকে দেবাংশু কমপক্ষে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে জেতাবেন তমলুকের মানুষ, বলেন অভিষেক।