বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করেন, এই ঘটনার সঙ্গে ভারতের কেউ জড়িত নন। ওপার বাংলারই কেউ জড়িত বলে তিনি দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার আমাদের সমস্ত রকমভাবে সহযোগিতা করেছে। ভারতের পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশের এই সাংসদ। গত ১২ মে তিনি কলকাতায় আসেন। তিনি বরানগরে এক বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু, এরপর পরের দিন তিনি বন্ধুর বাড়ি থেকে বার হন এবং খাবার খাবেন না, জানিয়েছিলেন তিনি। সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, পরে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেন যে দিল্লি চলে গিয়েছেন। পৌঁছে তিনি ফোন করবেন বলে জানান।
১৫ মে সকাল ১১.২১টার দিকে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে জানিয়েছিলেন দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। সঙ্গে ভিআইপি থাকার কারণে ফোন করার দরকার নেই বলে জানান তিনি। ১৬ মে থেকে তাঁর সঙ্গে আর ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। ১৮ মে বরানগর থানায় মিসিং কমপ্লেন করা হয়। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ।
এদিন নিউ টাউনের একটি অভিজাত আবাসনে সার্চ অপারেশন করে পুলিশ। তাঁর গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে দেহ উদ্ধারের বিষয়ে বিধাননগর কমিশনারেট বা বরানগর পুলিশের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি বা দেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানানো হয়নি।
জানা গিয়েছে, নিউ টাউনের অভিজাত আবাসনে মিলেছে রক্তের দাগ। এখনও পর্যন্ত এই সাংসদের পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে তাঁর মেয়ে এই মুহূর্তে কলকাতায় রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কী কারণে মৃত্যু হল এই বাংলাদেশি সাংসদের? ঘনাচ্ছে রহস্য।