এদিন বৃহন্নলাদের হাতে আক্রান্ত হন আরপিএফের দু’জন সাব ইনস্পেক্টর ও তিন জন কনস্টেবল। তাঁদের মধ্যে এক সাব ইনস্পেক্টর ও এক কনস্টেবল মহিলা। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। একজনের আঘাত গুরুতর। পরে জিআরপি ও আরপিএফের আধিকারিকরা আলোচনায় বসে বৃহন্নলাদের অবরোধ তোলেন।
বর্ধমান স্টেশনের আরপিএফ ইনস্পেক্টরকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরপিএফ ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, ট্রেনে সাধারণ মানুষের কাছে নানা ভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগ নিয়ে বৃহন্নলাদের দাবি, তাঁরা সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে থাকেন। যে যেমন পারেন সাহায্য করেন। কোনও অসৎ উদ্দেশ্য থাকে না।
আরপিএফের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে মধু কিন্নর নামে এক বৃহন্নলা বলেন, ‘বর্ধমানের আরপিএফ আধিকারিকরা আমাদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করে। মাসে মাসে আমাদের থেকে টাকা নেয়। তার পরেও আমাদের কেস দেয়, অত্যাচার করে। থানায় ডেকে মারধর করে। কুপ্রস্তাব দেয়। এ ভাবে চলতে পারে না। আজও আমাদের মারধর করেছে আরপিএফ। তাই আমরা প্রতিবাদ আন্দোলন করেছি।’