ফলে নির্বাচনের মধ্যে হোটেলে পর্যটক রাখা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে হোটেল মালিকদের মধ্যে। তাঁদের বক্তব্য, গরমের ছুটিতে প্রচুর পর্যটক ভিড় জমাচ্ছেন দিঘা, মন্দারমণি ও তাজপুর সৈকতে। এই পরিস্থিতিতে হোটেল বন্ধ রাখলে ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা।
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের কথা জানানো হয়েছে। বেড়াতে এসে পর্যটকরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, ২৩ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত কোনও বুকিং না নেওয়ার জন্যে হোটেল মালিকদের বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইনের কথা বলা হলেও এই সংক্রান্ত কোনও নোটিস আমরা পাইনি। ফলে অনেক হোটেল মালিক বুঝতে পারছেন না পর্যটক থাকলে কী সমস্যা হবে।’
কাঁথির মহকুমা শাসক তথা দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক শৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই বিষয়ে প্রশাসন কিংবা পর্ষদের কোনও ভূমিকা নেই। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই নির্বাচনের সময়ে বহিরাগত লোকজনদের হোটেলে না রাখার জন্য বলা হয়েছে।’ ডিএসপি ( ডিঅ্যান্ডটি) আবুনুর হোসেন বলেন, ‘বহিরাগত আটকাতে দিঘার ওডিশা বর্ডারে নজরদারি ও চেকিং বাড়ানো হয়েছে।’
রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র দিঘা। সারাবছরই পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে দিঘায়। লোকসভা ভোটের আবহে এমনিতেই ছুটির মরশুমে সামান্য হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। তা সত্ত্বেও গরমের ছুটিতে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। তবে জেলা প্রশাসনের এই রকম নির্দেশিকায় চিন্তায় পড়েছেন হোটের মালিকরা।