কোয়ালিটেটিভ সমীক্ষার ক্ষেত্রে মহিলাদের একটি বড় অংশ -৬১.১ শতাংশ মনে করছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প গৃহস্থলীর কাজে তাঁদের গুরুত্ব আরও বাড়িয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে তাঁরা আর্থিকভাবে সুরক্ষিত বোধ করছেন। ৬.৩ শতাংশ মহিলা বলেছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প তাঁদের ছোট ছোট ব্যবসায় বিনিয়োগ করার জন্য সক্ষম করেছে। বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্র।
৭৫.৯ শতাংশ মহিলা দাবি করছেন, তাঁরা এই অর্থ পরিবারের চাহিদা পূরণের জন্য ব্যবহার করছেন। ৪১.৮ শতাংশ সন্তানদের পড়াশোনায় এই অর্থ ব্যবহার করছেন এবং ৩৪ শতাংশ ওষুধ কিনছেন। প্রতীচী ট্রাস্টের তরফে সাবীর আহগমেদ বলেন, ‘যেহেতু সরাসরি এই অর্থ মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে ফলে তারা তা কী ভাবে খরচ করতে চান তা নিয়ে কথা বলতে পারছেন।’ ৩৫.৩ শতাংশ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার গ্রহিতা জানিয়েছেন, এই অর্থ তাঁরা ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যয় করেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে ইনস্টিটিউট অফ ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ কলকাতার সমাজবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক নন্দিনী ঘোষ বলেন, ‘এক্ষেত্রে টাকার অংকটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বহু মহিলার স্বপ্নপূরণ করেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা তা পাবেন। প্রথমে জেনারেল কাস্টের মহিলাদের ৫০০ এবং SC, ST মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছিল এই প্রকল্পে। পরে তা বাড়িয়ে যথাক্রমে ১০০০ এবং ১২০০ টাকা করা হয়েছে।