West Bengal Government Schemes,লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেই ক্ষমতায়ান! এই প্রকল্পের টাকা কী ভাবে ব্যবহার করেন বঙ্গের মহিলারা? – west bengal more than 85 percent women thinks that laxmir bhandar has empowered them


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার বঙ্গ মসনদে বসার পর রাজ্যের মহিলাদের জন্য চালু করেছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। সেই প্রকল্প বাংলার মহিলাদের কতটা সশক্ত করল? সম্প্রতি এই নিয়ে একটি সমীক্ষা করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের ‘প্রতীচী ট্রাস্ট’। আর গোটা বাংলাজুড়ে করা এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বাংলার ৮৫.৬ শতাংশ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্কিমে নিজেদের ‘শক্তিশালী’ মনে করছেন। একটি বাড়ির অনেক মহিলারাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন।এই সমীক্ষার জন্য কোয়ালিটেটিভ এবং কোয়ান্টিটেটিভ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথম পদ্ধতিতে ১৫০০ জনের উপর এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানেই ৮৫.৬ শতাংশের এই পরিসংখ্যান সামনে আসে। এরপর কোয়ালিটেটিভ পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয় যার ফলে ১৮৯ মহিলাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় এবং কেস স্টাডিও করা হয়। সরকারি সূত্র অনুসারে প্রায় ২.৫ কোটি মহিলা এই প্রকল্পের লাভ পেয়ে থাকেন।

কোয়ালিটেটিভ সমীক্ষার ক্ষেত্রে মহিলাদের একটি বড় অংশ -৬১.১ শতাংশ মনে করছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প গৃহস্থলীর কাজে তাঁদের গুরুত্ব আরও বাড়িয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে তাঁরা আর্থিকভাবে সুরক্ষিত বোধ করছেন। ৬.৩ শতাংশ মহিলা বলেছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প তাঁদের ছোট ছোট ব্যবসায় বিনিয়োগ করার জন্য সক্ষম করেছে। বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্র।

৭৫.৯ শতাংশ মহিলা দাবি করছেন, তাঁরা এই অর্থ পরিবারের চাহিদা পূরণের জন্য ব্যবহার করছেন। ৪১.৮ শতাংশ সন্তানদের পড়াশোনায় এই অর্থ ব্যবহার করছেন এবং ৩৪ শতাংশ ওষুধ কিনছেন। প্রতীচী ট্রাস্টের তরফে সাবীর আহগমেদ বলেন, ‘যেহেতু সরাসরি এই অর্থ মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে ফলে তারা তা কী ভাবে খরচ করতে চান তা নিয়ে কথা বলতে পারছেন।’ ৩৫.৩ শতাংশ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার গ্রহিতা জানিয়েছেন, এই অর্থ তাঁরা ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যয় করেন।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে ইনস্টিটিউট অফ ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ কলকাতার সমাজবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক নন্দিনী ঘোষ বলেন, ‘এক্ষেত্রে টাকার অংকটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বহু মহিলার স্বপ্নপূরণ করেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা তা পাবেন। প্রথমে জেনারেল কাস্টের মহিলাদের ৫০০ এবং SC, ST মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছিল এই প্রকল্পে। পরে তা বাড়িয়ে যথাক্রমে ১০০০ এবং ১২০০ টাকা করা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *