নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের সোনাচূড়া, হরিপুর, গোকুলনগর, ভেকুটিয়া অঞ্চল এবং নন্দীগ্রাম-২ নম্বর ব্লকের বিরুলিয়া, বয়াল এলাকায় বিজেপি সন্ত্রাসের ছক কষছে বলে অভিষেকের কাছে খবর এসেছে। তাঁর কথায়, ‘এই সাত-আটটা অঞ্চলে কিছু লোক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে। আমি তাঁদের নাম বলব না। এঁরাই খবর দিয়েছেন, ৮০টি বুথে কারচুপির প্ল্যান করা হয়েছে। কোথাও বোমা মারবে, কোথাও আকাশে গুলি চালাবে। ভোট দিতে বাধা দেবে। আপনারা বঁটি নিয়ে বেরিয়ে আসবেন, তাড়া করবেন, এদের ছাড়বেন না।’
বিজেপি সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সভা রয়েছে। এই সভা থেকে অভিষেকের আক্রমণের জবাব দিতে পারেন বিরোধী দলনেতা। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে ভোটে ও গণনায় কারচুপি করা হয়েছে। এই কারচুপির কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হন।
যদি অনিয়ম না হতো, তা হলে মমতা ৩০ হাজার ভোটে জয়ী হতেন বলে অভিষেকের দাবি। যদিও শুভেন্দু অধিকারী প্রথম থেকেই এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। এবারে লোকসভা ভোটেও যদি নন্দীগ্রামে বিজেপি বিধানসভার ধাঁচে ভোট করে, তা হলে ৪ জুনের পর পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন অভিষেক।
তাঁর কথায়, ‘যারা ভাবছে, বিজেপির হয়ে ২৪ তারিখ রাত থেকে মানুষকে ধমকাবে, চমকাবে—তাদের পরিণতি খুব খারাপ হবে। সতর্ক করে গেলাম। কোনও বাবা বাঁচাবে না। কেউ বাঁচাবে না।’ তমলুকের জোড়াফুল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য জয়ী হলে আগামী জুন মাসে নন্দীগ্রামে সভা করার কথাও ঘোষণা করেছেন অভিষেক।