স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণা বিয়ে হয়েছিল দাসপুরের মহিষঘাটা গ্রামে। সম্প্রতি তাঁর একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। তারপর কল্যাণপুরে বাপের বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন তিনি। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে তিনি যখন বাড়িতে বসে টিভি দেখছিলেন, ঠিক সেই সময়ই আচমকা পিছন থেকে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারে তাঁর ভাই লক্ষ্মীকান্ত বধুক।
বিষয়টি জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। চেঁচামেচির জেরে ওই বাড়িতে দৌড়ে এসে অভিযুক্ত যুবকের একটি ধারাল অস্ত্র হাতে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশীরা। পাশাপাশি মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় কৃষ্ণাকে। এলাকার মানুষজন অভিযুক্ত যুবককে বাড়ির মধ্যে আটকে রেখে খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়ে দাশপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার করে। ঘটনায় অভিযুক্ত লক্ষ্মীকান্ত ও সুকুমারকে আটক করেছে দাশপুর থানায়। বাপের বাড়িতে ঘুরতে এসে কৃষ্ণাতে ভাইয়ের হাতে কেন এভাবে খুন হতে হল তা কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না। এই নিয়ে নিয়ে রীতিমতো প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। গোটা ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে সুকুমার ও লক্ষ্মীকান্তকে। দাসপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্কে অবনতি হচ্ছিল দিদি ও ভাইয়ের।সম্প্রতি পৈতৃক জমি বিক্রি নিয়েও দিদি এবং ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ হয় বলে খবর সুত্রের। সেক্ষেত্রে নিছক পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। যদিও ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। অভিযুক্ত লক্ষ্মীকান্তর মানসিক কোনও সমস্যা রয়েছে কি না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে।