Folk Artists: ভোটের ডাকে অসময়ে লক্ষ্মীলাভ লোকশিল্পীদের – folk artists earn extra money for lok sabha election


এই সময়: ওঁরা কেউই রাজনৈতিক দলের কর্মী নন। তবু প্রার্থীদের জেতাতে দিন-রাত ঘাম ঝরাতে হচ্ছে ওঁদের। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মিছিল করছেন। কখনও ওঁদের দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের প্রচার মিছিলে। ওঁরাই কখনও আবার বিজেপি, কংগ্রেস কিংবা সিপিএমের পদযাত্রায় অংশ নিচ্ছেন। এতে অসময়ে লক্ষ্মী ঢুকছে ওঁ দের ঘরে।রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনও সংসর্গ না থাকলেও ভোটে পুরোমাত্রায় রয়েছেন হরিপদ গায়েন, শক্তিপদ দাস, শিবু মণ্ডল, সুচিত্রা মান্ডিরা। এঁদের কারও বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে। কারও বাড়ি গলসিতে। কেউ মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। এঁদের কারও ঢাক বাজিয়ে সংসার চলে। কেউ রণ-পা শিল্পী। কেউ আবার লোকনৃত্যের সঙ্গে যুক্ত। ভোট প্রচারের মিছিলকে আকর্ষণীয় করতে এঁদের উপর অনেকটাই ভরসা করছেন বিভিন্ন দলের নেতারা। প্রচারের জন্য ডান-বাম সব দলের প্রার্থীরাই বড় বড় মিছিল করছেন। কেউ পথে হেঁটে জনসংযোগ করছেন। কেউ ঘুরছেন হুডখোলা জিপে। সেই প্রচার মিছিলকে আকর্ষণীয় করতে গ্রামগঞ্জের লোকশিল্পীদের ভাড়া করে আনা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা বেড়েছে ঢাকিদের। মহিলা ঢাকিরাও সমানতালে ভোটের প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। আদিবাসী নৃত্যশিল্পীরাও লাইভ পারফরম্যান্স করছেন। জেলা থেকে ডাক পাচ্ছেন রণ-পা শিল্পীরাও। সব মিলিয়ে ভোটের বাজারে ভালোই রোজগার হচ্ছে এই সব লোকশিল্পীদের।

শক্তিগড়ের ঢাকি শিল্পী হরিপদ গায়েনের কথায়, ‘দুর্গাপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়টা বাদ দিলে বছরের বেশিরভাগ সময়েই আমাদের সে ভাবে কাজ থাকে না। ফলে এই সময়ে আমরা অনেকেই বাইরে কাজে যাই। তবে এই বছর ভোটের জন্য প্রচুর ডাক আসায় আমরা কেউ বাইরে যাইনি।’

আজ মালদায় জোড়া সভা মমতার, বাউল-গম্ভীরায় প্রচার শ্রীরূপার
আদিবাসী নৃত্যশিল্পী সুচিত্রা মান্ডি বলেন, ‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নই। যখন যে দল যেখানে ডাকে, সেখানে গিয়েই আমরা পারফর্ম করি।’

কিছু দিন আগেই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে গল্ফগ্রিনে বর্ণাঢ্য মিছিল বেরিয়েছিল। তাতে ঢাকি, রণ-পা এবং নৃত্যশিল্পী মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন লোকশিল্পী অংশ নিয়েছিলেন। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত জানাচ্ছেন, এই সব শিল্পীদের ভাড়া করে আনতে প্রায় ৫০-৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘প্রচারের পদযাত্রায় ঢাকি কিংবা লোকশিল্পীরা থাকলেও সেই মিছিল দেখতে খুবই ভালো লাগে। ঢাকের আওয়াজে লোকজন আসেন। তাই এই লোকশিল্পীদের চাহিদা বাড়ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *