কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী-২, পূর্বস্থলী-১, কালনা-২ ব্লকে বিঘের পর বিঘে জমি জুড়ে রয়েছে আমের বাগান। সবথেকে বেশি আমবাগান রয়েছে পূর্বস্থলী-২ ব্লকে। এখানকার হিমসাগর ও অন্যান্য প্রজাতির আমের সুনাম রয়েছে বাজারে। ২০১৮ সালে রাজ্য আম উৎসবে প্রথমবার অংশ নিয়ে নজর কাড়ার পাশাপাশি পুরস্কারও পায় পূর্বস্থলীর আম। পরে রাজ্যের আরও কয়েকটি আম উৎসবের পুরস্কার মেলে। পূর্বস্থলীর আমচাষি সুরজিৎ শীল বলেন, ‘এখানে হিমসাগর, গোলাপখাস, আম্রপালী, কিষানভোগ, ল্যাংরা, বোম্বাই- সবরকমেরই আম গাছ রয়েছে। এবার আমের ভালো দাম মিলছে। কিন্তু আমের ফলন কম। আমের কেজি প্রতি পাইকারি দর মিলছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মতো। হিমসাগর এখনও সে ভাবে ওঠেনি। হিমসাগরেরও ভালো দর মিলবে বলে আশা করছি।’
আর এক আমচাষি বিশ্বনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘গতবার এই সময়ে আমের কেজি প্রতি পাইকারি দর ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা। এবার সেখানে প্রায় দ্বিগুণ দর মিলছে। জামাইষষ্ঠীর কাছাকাছি আরও দাম মিলবে। ঘূর্ণিঝড়ের আলোচনার জেরেও অনেকে আম পেড়ে ফেলছেন।’ আমচাষি ভাসান শেখের বক্তব্য, ‘পূর্বস্থলীতে অনেক আমচাষি আমের কোনও বাগান ৫০ হাজার, কোনও বাগান আবার ১ লাখ টাকায় লিজ় নেন। এর উপরই সারাবছর সংসার চলে। তবে দর মিললেও খরচও বেড়েছে। আম পাকানোর কার্বাইডের খরচ বেড়েছে। তার উপর আম পাড়া, ওষুধ দেওয়া, পাহারা দেওয়ার জন্য বাগান পিছু দু’জন করে লোক রাখতে হয়। তার জন্যও একটা বড় অঙ্কের খরচ হয়।’