গোটা ঘটনায় একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে তৃণমূল ও বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ ও অবরোধ চলেছে। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে পুলিশ পিকেট। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপি। নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল বলেন, ‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভোটের মুখে এলাকাকে সন্ত্রস্ত করতে গিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।’
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এই বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ অবশ্য বলেন, ‘বিজেপির আদি আর নব্যর মধ্যে ঝামেলা কারণে এই ঘটনা। এর সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নেই। রাজনৈতিকভাবে কালিমালিপ্ত করার জন্য বিজেপি নিজেরাই এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এলাকায় এলাকায় বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ, অগ্নিসংযোগ ও তৃণমূলীদের মারধর করে চলেছে।’
উল্লেখ্য, বাম আমল থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ নাম এই নন্দীগ্রাম। পূর্বতন সরকারের আমলে সিঙ্গুরের পর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই ৩৪ বছরের বাম আমলের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম সরকারের পতনের পরেও বারেবারেই এই জায়গার নাম উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় অবশ্য তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন একদা তাঁরই দলের সদস্য শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই নির্বাচনে নন্দীগ্রামে পরাজিতও হন মমতা। এবার লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই ফের একবার উত্তেজিত হল নন্দীগ্রাম।