Nandigram Clash,ভোটের আগেই নন্দীগ্রামে TMC-BJP তুমুল সংঘর্ষ, মহিলার মৃত্যু – bjp tmc clash and a lady allegedly killed at nandigram ahead of lok sabha election


আগামী ২৫ তারিখ ষষ্ঠ দফার নির্বাচন হতে চলেছে। আর এই দফায়ভোট হতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। আর সেই নির্বাচনের আগেই নন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ। রথীবালা আড়ি নামে ওই বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা নন্দীগ্রামজুড়ে।জানা গিয়েছে, তমলুক লোকসভার অন্তর্ভুক্ত নন্দীগ্রাম বিধানসভার এক নম্বর ব্লকের সোনাচূড়া মনসা বাজারে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সেই সংঘর্ষে প্রায় ৯ জন গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রথীবালা আড়ি নামে ওই বিজেপি মহিলা কর্মীর মৃত্যু হয়। আরও একজনের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েথে তাঁকে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনার জের চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

গোটা ঘটনায় একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে তৃণমূল ও বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ ও অবরোধ চলেছে। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে পুলিশ পিকেট। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপি। নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল বলেন, ‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভোটের মুখে এলাকাকে সন্ত্রস্ত করতে গিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।’

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এই বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ অবশ্য বলেন, ‘বিজেপির আদি আর নব্যর মধ্যে ঝামেলা কারণে এই ঘটনা। এর সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নেই। রাজনৈতিকভাবে কালিমালিপ্ত করার জন্য বিজেপি নিজেরাই এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এলাকায় এলাকায় বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ, অগ্নিসংযোগ ও তৃণমূলীদের মারধর করে চলেছে।’

উল্লেখ্য, বাম আমল থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ নাম এই নন্দীগ্রাম। পূর্বতন সরকারের আমলে সিঙ্গুরের পর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই ৩৪ বছরের বাম আমলের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম সরকারের পতনের পরেও বারেবারেই এই জায়গার নাম উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় অবশ্য তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন একদা তাঁরই দলের সদস্য শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই নির্বাচনে নন্দীগ্রামে পরাজিতও হন মমতা। এবার লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই ফের একবার উত্তেজিত হল নন্দীগ্রাম।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *