পেশায় আইনজীবী সায়ন আদালতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। কিন্তু তার চেয়েও কি কঠিন লড়াই ভোটের ময়দান? সায়নের জবাব, ‘লড়াই অবশ্যই। তবে এই লড়াইটাকে সহজ করে দিয়েছেন বিজেপি-তৃণমূলের প্রার্থীরা। তাঁরা প্রচার বিমুখ। মানুষের কাছে শুধু বামেরাই আছে।’ সায়ন অবশ্য একই সঙ্গে মনে করেন পার্টির গুরুত্ব যেমন রয়েছে, তেমনই গুরুত্ব রয়েছে প্রার্থীরও।

সায়ন অবশ্য তৃণমূল প্রার্থী, বিজেপি প্রার্থী কাউকেই তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তিনি বরং মনে করেন, এই জেলায় মানুষ বিরোধী দলনেতার উপর বীতশ্রদ্ধ। তবে তাঁর ‘মেশিনারি’র বিরুদ্ধেই সায়নের মূল লড়াই সে কথা জানাতেও ভোলেননি তিনি।
ভোট এবং প্রার্থীপদ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে দু’মাসের বেশি সময় হয়ে গেল। হাতে গুনে একবার কি দু’বারের বেশি তিনি সোনারপুরে নিজের বাড়িতে ফেরেননি। মাটি কামড়ে পড়ে আছেন তমলুকে। ভোটের ঠিক মাসখানেক আগে বিয়ে করেছেন। স্ত্রী-ও মাঝেমধ্যে আসছেন তমলুকে। এখানে তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা হয়েছে নিমতৌড়িতে জেলা পার্টি অফিস। সেখানে থেকেই ভোট পরিচালনা করছেন। তাঁর আশা, ‘এই কেন্দ্রে বিজেপি অথবা তৃণমূলের মধ্যে কেউ তৃতীয় হবে।’
তিনি এক নম্বর হবেন? প্রত্যয়ী হাসি হাসেন যুবনেতা। জুড়ে দেন, ‘তৃণমূলের নেতাদের ভোট দিয়ে তো কোনও লাভ নেই। এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিল। এক বছরের মাথাতেই তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। মানুষও পরিষেবা পাননি।’ তাই এখান থেকে বামেদের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি বলে মনে করেন সায়ন।