নির্বাচনী আবহে হুগলিতে প্রয়াত বর্ষীয়ান বাম নেতা। ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা কোন্নগর পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া জেলার বাম নেতৃত্বের মধ্যে।কোন্নগর মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা সুভাষ মুখোপাধ্যায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লীতে তিনি ছেলে কৌশিকের কাছে গিয়েছিলেন। আজ সকালে রাজধানী এক্সপ্রেসে স্ত্রী জয়ন্তীকে নিয়ে হাওড়ায় ফেরেন। হাওড়া থেকে লোকাল ধরে কোন্নগর ফিরছিলেন। বেলুর ও বালি স্টেশনের মাঝে ট্রেন থেকে হঠাৎ পড়ে যান। বেলুর জিআরপি তাঁকে উদ্ধার করে উত্তরপাড়ার স্টেশন লাগোয়া একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নার্সিংহোমে যান উত্তরপাড়ার বাম নেতৃত্ব।
প্রাক্তন সাংসদ শান্তশ্রী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। পার্টির সহকর্মী সুভাষ মুখোপাধ্যায় দিল্লিতে ছেলের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ফিরছিলেন। হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল লোকালে চাপেন। ওঁর স্ত্রী ভিতরে বসে ছিলেন। ব্যাগ পত্র থাকায় গেটের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন সুভাষ। কোনওভাবে পড়ে যান।’ কোন্নগর পুরসভার ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে পার্টির অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে জানান তিনি।
প্রাক্তন সাংসদ শান্তশ্রী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। পার্টির সহকর্মী সুভাষ মুখোপাধ্যায় দিল্লিতে ছেলের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ফিরছিলেন। হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল লোকালে চাপেন। ওঁর স্ত্রী ভিতরে বসে ছিলেন। ব্যাগ পত্র থাকায় গেটের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন সুভাষ। কোনওভাবে পড়ে যান।’ কোন্নগর পুরসভার ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে পার্টির অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, কোন্নগর পুরসভায় একসময় বামেদের রাজত্ব ছিল। ২০১০ সাল পর্যন্ত এই পুরসভা ছিল বামেদের দখলে। শেষবার ২০০৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে বামেরা জয়ী হয়েছিলেন। সেইবার বামেরা পেয়েছিল ১২টি আসন, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ২টি করে আসন। সেই শেষবার।
এরপর ২০১০ সালের পুরসভা নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রথম কোন্নগর পুরসভায় জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। সেইবার তৃণমূল কংগ্রেস পায় ১০টি আসন, সিপিএম পায় ৭টি এবং কংগ্রেস পায় ৩টি আসন। এরপর থেকে কোন্নগর পুরসভায় জিতে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, বামদের আমলে প্রয়াত প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের বাম রাজনীতিতে অবদান ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোটের মাঝেই তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাম নেতা, কর্মীরা।