প্রসঙ্গত, মইবুল বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য ছিলেন। এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। এই হত্যার ঘটনায় বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ভোটের আগের দিন ওই এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম রাখতেই বিজেপি এই কাণ্ড করেছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
এদিকে, নন্দীগ্রামে এক বিজেপি মহিলা কর্মীর হত্যাকাণ্ডের পর একের পর এক তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুর, দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে গত দুই দিনে। ভোটের দিন সকাল থেকেই কার্যত থমথমে ছিল গোটা নন্দীগ্রাম এলাকা। এই বিষয়টি নিয়েও এদিনের সভা থেকে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের শুভেন্দু অধিকারীর নাম না নিয়ে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে নন্দীগ্রাম, খেজুরি দখল করিয়েছে। কী ভাবছ? শুধু ওই দুই দিয়ে বাংলা হবে? ঘেচু হবে। তুমি আট-দশটা বুথ নিয়ে থাকো।’
দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ সৌগত রায়ের সমর্থনে এদিন সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের মঞ্চ থেকেও সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বাতিল হয়ে যাওয়া ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘হঠাৎ বলল, ১৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করো, এত সস্তা! হঠাৎ বলল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করল। অনেক কষ্ট করে শংসাপত্র জোগার করতে হয়।’ এদিনের অসভা থেকে গত কয়েক বছরে রাজারহাট, নিউটাউন, বাগুইআটি অঞ্চল কী ভাবে গত কয়েক বছরে সাজিয়ে তোলা হয়েছে, তার খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি।