বিক্ষোভ-গো ব্যাক স্লোগান- হাড় ভাঙার ‘হুঁশিয়ারি’-ধরনা, শনিতে দিনভর চর্চায় রইলেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের দিকে রয়েছে বহু নজর। সবুজ না গেরুয়া, ৪ জুন ভোটের ফলাফলের দিন কোন আবির উড়বে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে? সব নজর সেই দিকেই।‘পরীক্ষার দিন’ সকাল থেকে কী করলেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?এদিন মেচেদার রামতরকের বাসভবন থেকে সকালে হলদিয়ায় যান তিনি। বিভিন্ন বুথ ঘুরে দেখেন। কিন্তু, সেখানে দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন। শুনতে হয় ‘গো ব্যাক’, ‘চাকরি চোর’ স্লোগান। কখনও ক্যুইক রেসপন্স টিমকে ফোন করতে দেখা গেল, আবার কখনও তিনি দাবি করলেন, ‘আমাকে ঘিরে ধরার সাহস এখনও নেই। তা হলে ওদের হাড়গোড় ভাঙা হবে।’ এদিন হলদিয়া ভবানীপুর শান্তি বিবেকানন্দ কন্যা বিদ্যামন্দির, বুথ নম্বর ২৩২-এ হাজির হন তিনি। সেখানে ‘গো ব্যাক স্লোগান’ শোনেন। বিক্ষোভ, স্লোগানের মাঝেই বেলা ১২টা পর্যন্ত হলদিয়ার বিভিন্ন বুথে বুথে ঘোরেন তিনি।
এরপর হলদিয়া থেকে মহিষাদলে বিজেপির পার্টি অফিসে যান তিনি এবং সেখানেই সারেন মধ্যাহ্নভোজ। এরপর সেখান থেকে রওনা দেন ময়নার উদ্দেশে। এরপর এক বিজেপি কর্মীবাবু লাল মণ্ডলকে দেখতে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে যান। সঙ্গে ছিলেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল।
এদিন বিকেলের দিকে ধরনায় বসেন তিনি। ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার আপ্ত সহায়ক গৌতম কুণ্ডুর বাড়িতে পুলিশি তল্লাশির খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান। গৌতমের স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামী ‘নিখোঁজ’। ভোট দেওয়ার পর তাঁর শ্যালক তাঁকে বাড়ির মোড়ে পৌঁছে দিয়ে যান। তারপর থেকেই তিনি ঘরছাড়া বলে দাবি করা হয়। বেলায় পুলিশ গৌতমের বাড়িতে যায়।
খবর পেয়ে গৌতমের বাড়িতে যান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা হলেন। পুলিশের থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চান তিনি। এরপর পুলিশি জুলুমের অভিযোগে আপ্ত সহায়কের বাড়িতেই ধরনায় বসেন অভিজিৎ।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাজনীতিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পর তমলুক কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।