Dev Vs Hiran,ভোট শেষের আগেই দেবকে নিয়ে বিজয়োৎসব, ধারাবাহিক বিক্ষোভের মুখে হিরণ – dev and hiran chatterjee full day in ghatal lok sabha election


লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার পর প্রথম থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে পর্যবেক্ষকদের বিশেষ নজরে ছিল ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র। গোটা প্রচারপর্বে আক্রমণ পালটা আক্রমণ শোনা গিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির পক্ষ থেকে। যেহেতু এই কেন্দ্রে এবার লড়াইতে দুই অভিনেতা, অর্থাৎ দেব ও হিরণ, তাই রাজনৈতিকমহলের বাড়তি আকর্ষণ ছিল এই কেন্দ্রকে ঘিরে। নির্বাচনের দিনও বারেবারেই শিরোনামে উঠে আসতে দেখা গেল ঘাটালকে।দিনভর কেশপুরেই আটকে রইলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে রইল প্রতি পদে পদে বিক্ষোভ-বাধা। কখনও সাহসপুর, কখনও আনন্দপুর, কখনও আবার মুগবাসান। দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা গেল বিজেপি প্রার্থীকে। এমনকী লাঠি বাঁশ নিয়েও তেড়ে আসতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। অন্যদিকে আবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রজুড়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল দেবকে। তাও কার্যত বিনা বাধায়। কখনও ভক্তদের সঙ্গে সেলফি তুলে, তো কখনও দলীয় কর্মীর বাইকে চেপে ঘুরে বেড়ালেন ঘাটাল থেকে দাসপুর। শুধু তাই নয়, ভোট শেষের আগেই দেবকে ঘিরে সবুজ আবির মেতে উঠলেন দলীয় কর্মী সমর্থকেরা।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

এদিন সকাল থেকেই ময়দানে নামেন হিরণ। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীয় সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় তাঁকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। তিনি অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। তাঁকে আরও অভিযোগ করতে শোনা যায়, রাতে ঘুমিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃণমূলকে জেতাতে কেশপুর এবং আনন্দপুরের দুই ওসি তৎপর হয়ে উঠেছেন বলেও অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে হিরণ।

হিরণকে ঘিরে বিক্ষোভ

এদিকে কেশপুরের আনন্দপুর থানার খেড়িয়াবালি এলাকায় বিজেপি প্রার্থী হিরণের গাড়ি আটকে বাঁশ লাঠি হাতে বিক্ষোভ দেখা শুরু করে একদল গ্রামবাসী। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী হিরণ এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছেন। গতরাতে হিরণ এলাকায় বিজেপি কর্মীদের পাঠিয়ে গ্রামবাসীদের উপর হামলাও চালিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাই তাঁরা এলাকায় হিরণকে ঢুকতে দেবেন না। প্রায় ঘণ্টাখানেক গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ আটকে থাকেন হিরণ। আর শুধু সেখানে নয়, এদিন দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।

দেবকে ঘিরে বিজয় উৎসব

অন্যদিকে একেবারে অন্য ছবি দেখা গেল দেবকে ঘিরে। এদিন সকাল থেকেই ময়দানে ছিলেন দেব। এক দলীয় কর্মীর বাইকে চড়ে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দৌলতচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭১ নম্বর বুথে যান তিনি। রীতিমতো নিয়ম মেনে মাথায় হেলমেট পরে বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাঁকে। ভোটারদের আবদার মেনে তোলেন সেলফিও। এখানেই শেষ নয় ভোট শেষের আগেই দেবকে মালা পরিয়ে ও সবুজ আবির নিয়ে বিজয় উৎসবে মেতে উঠতে দেখা গেল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। এদিন সংবাদমাধ্যম হিরণকে নিয়ে প্রশ্ন করলেও প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে নিয়ে একেবারেই কথা বলতে চাননি তিনি। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে এদিন কার্যত ঘাটালবাসীর সঙ্গে মিলেমিশে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব উদযাপন করলেন ‘কনফিডেন্ট’ দেব। যদিও শেষ পর্যন্ত ঘাটালের মানুষ তাঁদের প্রতিনিধি হিসেবে কাকে বেছে নিল, তা অবশ্য বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *