কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
এদিন সকাল থেকেই ময়দানে নামেন হিরণ। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীয় সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় তাঁকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। তিনি অভিযোগ তোলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। তাঁকে আরও অভিযোগ করতে শোনা যায়, রাতে ঘুমিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃণমূলকে জেতাতে কেশপুর এবং আনন্দপুরের দুই ওসি তৎপর হয়ে উঠেছেন বলেও অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে হিরণ।
হিরণকে ঘিরে বিক্ষোভ
এদিকে কেশপুরের আনন্দপুর থানার খেড়িয়াবালি এলাকায় বিজেপি প্রার্থী হিরণের গাড়ি আটকে বাঁশ লাঠি হাতে বিক্ষোভ দেখা শুরু করে একদল গ্রামবাসী। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী হিরণ এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছেন। গতরাতে হিরণ এলাকায় বিজেপি কর্মীদের পাঠিয়ে গ্রামবাসীদের উপর হামলাও চালিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাই তাঁরা এলাকায় হিরণকে ঢুকতে দেবেন না। প্রায় ঘণ্টাখানেক গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ আটকে থাকেন হিরণ। আর শুধু সেখানে নয়, এদিন দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
দেবকে ঘিরে বিজয় উৎসব
অন্যদিকে একেবারে অন্য ছবি দেখা গেল দেবকে ঘিরে। এদিন সকাল থেকেই ময়দানে ছিলেন দেব। এক দলীয় কর্মীর বাইকে চড়ে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দৌলতচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭১ নম্বর বুথে যান তিনি। রীতিমতো নিয়ম মেনে মাথায় হেলমেট পরে বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাঁকে। ভোটারদের আবদার মেনে তোলেন সেলফিও। এখানেই শেষ নয় ভোট শেষের আগেই দেবকে মালা পরিয়ে ও সবুজ আবির নিয়ে বিজয় উৎসবে মেতে উঠতে দেখা গেল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। এদিন সংবাদমাধ্যম হিরণকে নিয়ে প্রশ্ন করলেও প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে নিয়ে একেবারেই কথা বলতে চাননি তিনি। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে এদিন কার্যত ঘাটালবাসীর সঙ্গে মিলেমিশে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব উদযাপন করলেন ‘কনফিডেন্ট’ দেব। যদিও শেষ পর্যন্ত ঘাটালের মানুষ তাঁদের প্রতিনিধি হিসেবে কাকে বেছে নিল, তা অবশ্য বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন।