Election Commission : ভোটে বেলাগাম খরচ, প্রশ্নে নির্বাচন কমিশন – lok sabha polls 2024 election commission questioned on expenses of candidate


নিয়মই সার! নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, এ বারের লোকসভা ভোটে এক-এক জন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৯৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে কি আদৌ সেই নিয়ম মেনে চলছেন প্রার্থীরা? ভোটের প্রচারে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা যে ভাবে দেদার খরচ করছেন, তা দেখার পর অনেকের মনেই এই প্রশ্ন জাগছে। প্রার্থীদের খরচ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের উদাসীনতা নিয়ে অভিযোগের আঙুলও তুলছেন অনেকে।আনুষ্ঠানিক ভাবে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার অনেক আগে থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছিলেন বহু প্রার্থী। প্রার্থী-তালিকা ঘোষণার পর সেটা আরও তুঙ্গে ওঠে। দেওয়াল লিখন, হোর্ডিং, ব্যানার টাঙানোর পাশাপাশি টিভি, সংবাদপত্র, রেডিয়ো এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার ভোটের প্রচার চলছে। তার জন্যে খরচ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ভোটারদের মন জয়ে বহু প্রার্থী কমিশনের বেঁধে দেওয়া খরচের ঊর্ধ্বসীমা পার করে ফেলেছেন। সেটা দেখেও কমিশন প্রার্থীদের খরচে রাশ টানতে উদ্যোগী হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রার্থীরা প্রচার-খাতে কত টাকা ব্যয় করছেন, আলাদা করে তার হিসাব দাখিল করতে হয় কমিশনে। প্রার্থীদের খরচ-খরচা দেখার জন্যে এক্সপেনডিচার অবজার্ভারও নিয়োগ করে কমিশন। তা সত্ত্বেও কেন প্রার্থীদের খরচে রাশ টানা যাচ্ছে না, সেই প্রশ্ন উঠছে।

কমিশনের এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ে রিটার্নিং অফিসাররা প্রার্থীদের হাতে একটা অ্যাকাউন্টস রেজিস্টার দিয়ে দেন। তাতে খরচের হিসাব লিখে রাখতে হয়। তার সঙ্গে সব খরচের ভাউচার জমা দিতে হয়। কমিশনের নিযুক্ত এক্সপেনডিচার অবজার্ভাররা সেটা খতিয়ে দেখেন। ভোটের সময় প্রার্থীদের দৈনন্দিন খরচের হিসাব রাখতে ট্রেজারি অফিসার এবং অ্যাডিশনাল ট্রেজারি অফিসারদেরও ডেজিগনেটেড অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়।

মূলত ওয়েস্ট বেঙ্গল অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসেস-এর অফিসারদের এই পদে নিয়োগ করা হয়। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রচারের জন্যে প্রার্থীরা যে সব লিফলেট, ব্যানার, হোর্ডিং ছাপান–তাতে প্রিন্টারের নাম লেখাও বাধ্যতামূলক। ছাপাখানাগুলিকেও সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়।

Election Commission : আবার অফিসার বদলি, তৃণমূলের তোপে ইসি

ভোট শেষ হওয়ার পর এক মাসের মধ্যে প্রত্যেক প্রার্থীকে তাঁদের ফাইনাল অ্যাকাউন্টস এক্সপেনডিচার অবজার্ভারের কাছে জমা দিতে হয়। সেটা দেখার পর এক্সপেনডিচার অবজার্ভারের সুপারিশ মেনে রিটার্নিং অফিসাররা প্রার্থীদের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেন। সব প্রার্থীকে খরচের বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে রিটার্নিং অফিসারের কাছেও জমা করতে হয়। সেটা পাঠানো হয় দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে।

তাতে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে অথবা ঠিক সময়ে জমা না পড়লে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে শো-কজ করা হয়। পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারেও বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে কমিশন। কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্টার ক্যাম্পেনারদের খরচ অবশ্য দেয় দল। প্যান্ডেল খরচ এবং হেলিকপ্টারের ভাড়াও পার্টির খরচেই দেখানো হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *