নিয়ম অনুযায়ী, প্রার্থীরা প্রচার-খাতে কত টাকা ব্যয় করছেন, আলাদা করে তার হিসাব দাখিল করতে হয় কমিশনে। প্রার্থীদের খরচ-খরচা দেখার জন্যে এক্সপেনডিচার অবজার্ভারও নিয়োগ করে কমিশন। তা সত্ত্বেও কেন প্রার্থীদের খরচে রাশ টানা যাচ্ছে না, সেই প্রশ্ন উঠছে।
কমিশনের এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ে রিটার্নিং অফিসাররা প্রার্থীদের হাতে একটা অ্যাকাউন্টস রেজিস্টার দিয়ে দেন। তাতে খরচের হিসাব লিখে রাখতে হয়। তার সঙ্গে সব খরচের ভাউচার জমা দিতে হয়। কমিশনের নিযুক্ত এক্সপেনডিচার অবজার্ভাররা সেটা খতিয়ে দেখেন। ভোটের সময় প্রার্থীদের দৈনন্দিন খরচের হিসাব রাখতে ট্রেজারি অফিসার এবং অ্যাডিশনাল ট্রেজারি অফিসারদেরও ডেজিগনেটেড অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়।
মূলত ওয়েস্ট বেঙ্গল অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসেস-এর অফিসারদের এই পদে নিয়োগ করা হয়। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রচারের জন্যে প্রার্থীরা যে সব লিফলেট, ব্যানার, হোর্ডিং ছাপান–তাতে প্রিন্টারের নাম লেখাও বাধ্যতামূলক। ছাপাখানাগুলিকেও সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়।
ভোট শেষ হওয়ার পর এক মাসের মধ্যে প্রত্যেক প্রার্থীকে তাঁদের ফাইনাল অ্যাকাউন্টস এক্সপেনডিচার অবজার্ভারের কাছে জমা দিতে হয়। সেটা দেখার পর এক্সপেনডিচার অবজার্ভারের সুপারিশ মেনে রিটার্নিং অফিসাররা প্রার্থীদের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেন। সব প্রার্থীকে খরচের বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে রিটার্নিং অফিসারের কাছেও জমা করতে হয়। সেটা পাঠানো হয় দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে।
তাতে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে অথবা ঠিক সময়ে জমা না পড়লে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে শো-কজ করা হয়। পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারেও বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে কমিশন। কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্টার ক্যাম্পেনারদের খরচ অবশ্য দেয় দল। প্যান্ডেল খরচ এবং হেলিকপ্টারের ভাড়াও পার্টির খরচেই দেখানো হয়।