Kalipada Soren : পদ্মশ্রী কালীপদই পদ্মের কাঁটা হবেন? – lok sabha election profile of jhargram tmc candidate kalipada soren


এই সময়: কলকাতায় এসবিআই-এর উল্টোডাঙা শাখায় চার দশক আগে ক্যাশিয়ার-কাম-ক্লার্ক পদে চাকরিতে যোগ দিলেও তাঁর মন ছিল সাহিত্যচর্চায় ও নাটকে। সে জন্য শহর থেকে বদলি নিয়ে গ্রামে ফিরেছিলেন। গ্রামে থাকার জন্যই ৩৩ বছরের কর্মজীবনে প্রোমোশন নেননি। সাহিত্যচর্চা ও নাটকের জন্য অফিসে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকায় বেতন পর্যন্ত কাটা গিয়েছিল কালীপদ সোরেনের।কিন্তু তাঁর কলম থামেনি। ফুটিয়ে তুলেছেন সাঁওতালি জীবনযাত্রার নানা দিক। ২০২২ সালে পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মানও। সাঁওতালি সাহিত্য জগতে তিনি ‘খেরওয়াল সোরেন’ নামেই পরিচিত। সেই সাহিত্যিককেই এবারে ঝাড়গ্রামে ভোটের ময়দানে নামিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

প্রার্থী প্রোফাইল

কালীপদ বলেন,‘আমার নাট্যদল ছিল। ব্যাঙ্ক ম্যানেজাররা বলতেন, আপনি প্রমোশন নিন। অনেক সুযোগ পাবেন। আমি বলেছিলাম, যে মাইনে পাই তাতে সংসার চলে যায়। কিন্তু আমাদের সাঁওতাল সমাজকে দেখার ক’জন আছেন? তাই আমি প্রোমোশন না-নিয়ে সাহিত্যচর্চা ও নাটক নিয়েই কাটিয়ে দিয়েছি।’

চাকরির ১৪ বছরের মাথায় যখন প্রথম বদলির সুযোগ এলো তখন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সোজা ফিরে এলেন ঝাড়গ্রামে। উল্টোডাঙা থেকে দহিজুড়ি ব্রাঞ্চে। সাঁওতালি নাটক ‘চেৎ রে চিকা য়েনে’ অর্থাৎ ‘কীসে কী হলো?’-র জন্য ২০০৭ সালে এবং দিব্যেন্দু পালিতের উপন্যাস ‘অনুভব’ অনুবাদের জন্য ২০১৯ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। এ ছাড়াও ২০০৪ সালে রাজ্যের সাধু রামচাঁদ মুর্মু স্মৃতি পুরস্কার ও ২০১২ সালে কবি সারদাপ্রসাদ কিস্কু স্মৃতি পুরস্কার পান পশ্চিমবঙ্গ সাঁওতালি আকাদেমি থেকে।

ভোটপ্রচারের মাঝে মহিলাদের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচারে ‘প্যাড ওম্যান’

২০০৫ সালে সাহিত্য আকাদেমির সদস্য হন। ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বঙ্গবিভূষণ‌ সম্মানে সম্মানিত করেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *