কালীপদ বলেন,‘আমার নাট্যদল ছিল। ব্যাঙ্ক ম্যানেজাররা বলতেন, আপনি প্রমোশন নিন। অনেক সুযোগ পাবেন। আমি বলেছিলাম, যে মাইনে পাই তাতে সংসার চলে যায়। কিন্তু আমাদের সাঁওতাল সমাজকে দেখার ক’জন আছেন? তাই আমি প্রোমোশন না-নিয়ে সাহিত্যচর্চা ও নাটক নিয়েই কাটিয়ে দিয়েছি।’
চাকরির ১৪ বছরের মাথায় যখন প্রথম বদলির সুযোগ এলো তখন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সোজা ফিরে এলেন ঝাড়গ্রামে। উল্টোডাঙা থেকে দহিজুড়ি ব্রাঞ্চে। সাঁওতালি নাটক ‘চেৎ রে চিকা য়েনে’ অর্থাৎ ‘কীসে কী হলো?’-র জন্য ২০০৭ সালে এবং দিব্যেন্দু পালিতের উপন্যাস ‘অনুভব’ অনুবাদের জন্য ২০১৯ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। এ ছাড়াও ২০০৪ সালে রাজ্যের সাধু রামচাঁদ মুর্মু স্মৃতি পুরস্কার ও ২০১২ সালে কবি সারদাপ্রসাদ কিস্কু স্মৃতি পুরস্কার পান পশ্চিমবঙ্গ সাঁওতালি আকাদেমি থেকে।
২০০৫ সালে সাহিত্য আকাদেমির সদস্য হন। ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বঙ্গবিভূষণ সম্মানে সম্মানিত করেন।
