এরপর মেদিনীপুরের মেদিনীপুরের তলকুয়ের একটি বুথে যদিও চড়া মেজাজে দেখা যায় তাঁকে। জুন মালিয়া যখন বুথের ভিতরে যান বিজেপির পোলিং এজেন্ট তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন বলে অভিযোগ। গোটা বিষয়টি তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে দাবি তাঁর।ওই বুথে ভিতরে বিজেপির পোলিং এজেন্টের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া। কার্যত চিৎকার করতে দেখা যায় তাঁকে। মেদিনীপুরের একটি চার্চেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
অন্যদিকে, ঘটনাবহুল ছিল বিজেপির প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের ভোটযাত্রাও। সুদূর আসানসোল থেকে দিলীপ গড় মেদিনীপুরে এবার ভোটে লড়তে এসেছেন তিনি। প্রচারেও অগ্নিশর্মা মেজাজে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ভোটের দিনেও সেটার অন্যথা হল না। কখনও বুথে এজেন্ট বসতে না দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ, কখনও বুথে ঢুকে বিজেপির এজেন্ট বসিয়ে দেওয়া আবার কখনও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে একটি বুথে সাদা পোশাকে কলকাতা পুলিশের এক কর্মী ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। পরে রণং দেহি মেজাজে তাঁর সঙ্গে তর্কাতর্কি করতেও দেখা যায় তাঁকে। এরপর সেই কর্মীকে বের করে দেওয়া হয়।
এদিন আঙ্গুয়া এলাকায় গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন অগ্নিমিত্রা। প্রথমে আঙ্গুয়া এলাকায় পুলিশ আটকায় অগ্নিমিত্রা পালকে। পুলিশ জানায় মিডিয়ার এতগুলো গাড়ি যাবে না। এরপর অগ্নিমিত্রার একার গাড়ি পাস করায় তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরা। বিক্ষোভে আটকে পড়ে মিডিয়ার গাড়িও। অবশেষে এই এলাকা থেকে অগ্নিমিত্রা পাল গাড়ি ঘুরিয়ে নেয়। এলাকায় ঢুকতে পারেননি। এলাকায় বিক্ষোভের জেরেই ঢুকতে পারেননি না অগ্নিমিত্রা। অগ্নিমিত্রার গাড়ি ঘিরে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। গো-ব্যাক স্লোগান ওঠে। রাস্তায় বসেও পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। পুরো বিষয়টি নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে প্রার্থীর তরফে।