দু’দফায় সেই হ্যারিকেনের আলো নিভে যাওয়ায় অনুমান করা হয় সেখানে মারণ গ্যাস ব্যাপক পরিমাণে মজুত রয়েছে এবং অক্সিজেন অত্যন্ত কম। এই অবস্থায় ইসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ ও দমকল কর্মীরা। এর পর সীতারামপুরের ইসিএলের মাইন্স রেসকিউ স্টেশনের উদ্ধারকারী দল সেখানে আসে। তারাই ক্রেন এনে উদ্ধার করে দু’জনকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
কুয়ো খোঁড়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা অন্য দুই যুবক জানান, এদিন রতন কুয়োয় নামতেই জ্ঞান হারান। বিষয়টি লক্ষ করে গোপি তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও সংজ্ঞাহীন হয়ে যান। এতে দু’জনে কুয়োয় আটকে পড়েন। এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দা ও থানায় খবর দেওয়া হয়। ইসিএলের বাঁশরা কোলিয়ারির সেফটি অফিসার অভিষেক কুমার বলেন, এদিন কুয়োর মধ্যে অক্সিজেনের পরিমাণ ছিল মাত্র ১.৫ শতাংশ। উদ্ধারকারী দলকে তাই অক্সিজেন নিয়েই কুয়োয় নামতে হয়।’
আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের অনুমান, কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের কারণেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে জেলা হাসপাতালে দু’টি দেহের ময়না-তদন্ত করা হবে। তার পরই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। দুই যুবকের পরিবারের তরফে শনিবার বিকেল পর্যন্ত রানিগঞ্জ থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। যদিও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।