Asansol Hospital,কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে মারণ গ্যাসে মৃত ২ – two lost life while cleaning well accident in raniganj


এই সময়, আসানসোল: একটি নির্মীয়মাণ কারখানার কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে মারণ গ্যাসে প্রাণ হারালেন দুই যুবক। দীর্ঘ কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় শনিবার দুপুর ৩টে নাগাদ গভীর কুয়ো থেকে দু’জনকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন দু’জনকেই। মৃতদের নাম রতন কোড়া (২৮) ও গোপি কোড়া (৩২)। দু’জনেই রানিগঞ্জ থানার সিয়ারশোল রাজবাড়ির রামবাগান কোড়াপাড়ার বাসিন্দা।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রানিগঞ্জের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির নির্মীয়মাণ কারখানার কুয়ো কাটছিলেন রতন ও গোপি। সে সময়ে কুয়োর মধ্যে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের ছোবলে জ্ঞান হারিয়ে তাঁরা কুয়োর ভিতরেই আটকে পড়ে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন রানিগঞ্জ থানার পুলিশ ও দমকল কর্মীরা। প্রথমে কুয়োয় জ্বলন্ত হ্যারিকেন নামানো হয়।

দু’দফায় সেই হ্যারিকেনের আলো নিভে যাওয়ায় অনুমান করা হয় সেখানে মারণ গ্যাস ব্যাপক পরিমাণে মজুত রয়েছে এবং অক্সিজেন অত্যন্ত কম। এই অবস্থায় ইসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ ও দমকল কর্মীরা। এর পর সীতারামপুরের ইসিএলের মাইন্স রেসকিউ স্টেশনের উদ্ধারকারী দল সেখানে আসে। তারাই ক্রেন এনে উদ্ধার করে দু’জনকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

কুয়ো খোঁড়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা অন্য দুই যুবক জানান, এদিন রতন কুয়োয় নামতেই জ্ঞান হারান। বিষয়টি লক্ষ করে গোপি তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও সংজ্ঞাহীন হয়ে যান। এতে দু’জনে কুয়োয় আটকে পড়েন। এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দা ও থানায় খবর দেওয়া হয়। ইসিএলের বাঁশরা কোলিয়ারির সেফটি অফিসার অভিষেক কুমার বলেন, এদিন কুয়োর মধ্যে অক্সিজেনের পরিমাণ ছিল মাত্র ১.৫ শতাংশ। উদ্ধারকারী দলকে তাই অক্সিজেন নিয়েই কুয়োয় নামতে হয়।’

আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের অনুমান, কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের কারণেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে জেলা হাসপাতালে দু’টি দেহের ময়না-তদন্ত করা হবে। তার পরই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। দুই যুবকের পরিবারের তরফে শনিবার বিকেল পর্যন্ত রানিগঞ্জ থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। যদিও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *