এদিকে ছেলের এই ‘কুকীর্তি’-র কথা বিশ্বাস করতে পারছে না তার বাবা-মা। বাংলাদেশে দিঘলিয়ার বারাকপুর বাজারের পাশে বাড়ি জিহাদের। বাবা জয়নাল হাওলাদার পেশায় রংমিস্ত্রি। ছেলেও ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে হাতে হাতে কাজ করে দিত।
জিহাদের স্ত্রী মুন্নি ওপার বাংলার সংবাদ মাধ্যম ‘সময় নিউজ’-কে বলেন, ‘আমাদের চার বছর বিয়ে হয়েছে। একটি ছোট ছেলেও রয়েছে। প্রায় দেড় বছর আগে ও একটি মামলায় জড়িয়ে পড়েছিল। এরপর গা ঢাকা দেয়। বাড়ি ছাড়ার পর ও কোথায় রয়েছে, তা জানতাম না।’ নয় মাস আগে শেষ এক থেকে দেড় মিনিট স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর, জানান মুন্নি। তাঁর কথায়, ‘ও কোথায় রয়েছে তা জানায়নি। তবে ছেলে ও বাবা-মায়ের খোঁজ নিয়েছিল।’
একবার পা ধরে আকুতি করেছিলাম যাতে ভুল পথ ছেড়ে দেয়
জয়নাল হাওলাদার, জিহাদের বাবা
জিহাদের বাবা জয়নাল হাওলাদার বলেন, ‘ছেলে যে এক নৃশংস কোনও কাজ করতে পারে, তা কোনওদিন ভাবিনি। ওকে নিয়ে বেশ অশান্তিতে ছিলাম। একবার পা ধরে আকুতি করেছিলাম যাতে ভুল পথ ছেড়ে দেয়। কিন্তু, স্থানীয় কিছু লোকজনের কারণে ছেলেটা আমার ভুলপথে চলে গেল।’ তবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কারও নাম করতে চাননি তিনি।
জিহাদের গ্রামবাসীদের দাবি, ছোটবেলা থেকেই বেশ উৎশৃঙ্খল ছিল সে। প্রাথমিকের পর পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে দেয়। এলাকায় বিভিন্ন অশান্তির ঘটনায় তার নামও জড়িয়েছে বেশ কয়েকবার। এর আগে আট মাসের জেলও খেটেছে বাংলাদেশে।
খুলনা পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশে থাকার সময়ই জিহাদের সঙ্গে পরিচয় হয় সেই দেশের এক উগ্রপন্থী নেতার। এরপরেই অপরাধ দুনিয়ার সঙ্গে জিহাদের যোগাযোগ আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে বলে সূত্রের খবর। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একাধিক মামলাও রয়েছে। পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছিল জিহাদ, সূত্রের খবর এমনটাই। বাংলাদেশি সাংসদ খুনের ঘটনায় জিহাদের নাম জড়ানোয় অবাক তার প্রতিবেশীরা।