হাইকোর্টে বর্তমানে থাকা ৪২ জন বিচারপতির মধ্যে বেশ কয়েক বছর বাদে এ বারই ডিটারমিনেশনের বড়সড় পরিবর্তন হলো বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। ২০১৭ সালের অগস্টের পর থেকে জামিন-সহ মূলত ফৌজদারি মামলা সামাল দেওয়া বিচারপতি বাগচীকে জামিন ও ফৌজদারি আপিল মামলা থেকে অব্যাহতির কারণ নিয়ে জল্পনা রয়েছে আইনজীবীদের মধ্যে।
তবে আইনজীবীদের একাংশ বলছেন, দীর্ঘদিন একই রকম মামলা শুনতে শুনতে তিনিই অন্য ধরনের মামলা শুনতে আগ্রহী হয়েছিলেন। আবার কারও ধারণা, এর পরে পদোন্নতি পেয়ে তিনি কলকাতা ছাড়লে তাঁর মতো এত দ্রুত জামিন/ফৌজদারি মামলা শোনা অনভ্যস্তদের পক্ষে রীতিমতো সমস্যার হতে পারে। তাই আগাম তাঁকে অব্যাহতি দিয়ে ফৌজদারি মামলা শোনার জন্যে নতুন ডিভিশন বেঞ্চ বাছা হলো।
এর আগে ২০২১ সালে বিচারপতি বাগচী যখন মাস দশেকের জন্যে অন্ধ্রপ্রদেশে বদলি হয়েছিলেন, সেই সময়ে ফৌজদারি মামলা জমে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অস্বীকার করছেন না বিচারবিভাগের অফিসাররাও। আবার আগাম জামিনের মামলা দক্ষতার সঙ্গে দ্রুত শুনানি করলেও সম্প্রতি কিছুটা অসুস্থ হয়ে অব্যাহতি চাইছিলেন বিচারপতি বসাক। আইনজীবীরা বলছেন, জামিন এবং আগাম জামিনের সঙ্গেই পুলিশ সংক্রান্ত মামলা দ্রুত শোনা না গেলে তালিকা দীর্ঘ হবে।
আবার সার্ভিস সংক্রান্ত সিঙ্গল বেঞ্চ দেওয়া হয়েছে বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়কে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার কাছে প্রাথমিকের মামলা থাকছে। কিন্তু হাইস্কুল সংক্রান্ত মামলা দেওয়া হয়েছে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যকে। বিচারপতি কৌশিক চন্দকে পুরসভা এবং কোঅপারেটিভ সংক্রান্ত মামলা, বিচারপতি জয় সেনগুপ্তকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলার বিচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।