Cyclone Remal,প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন রিমেল, শিকলে বাঁধা হল ট্রেনের চাকা – south eastern railway tie rail wheel with the track due to cyclone remal


রবিবার রাতে প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে সাইক্লোন রিমেল। প্রাকৃতির বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে দক্ষিণ পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে। কিন্তু, রিমালের শক্তি কি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনকে স্থানচ্যুত করতে সক্ষম?এদিন শালিমার স্টেশনের ইয়ার্ডে দূরপাল্লার ট্রেনগুলি যাতে লাইন থেকে গড়িয়ে না যায় সেই জন্য চাকাগুলিকে লাইনের সঙ্গে চেন দিয়ে বেঁধে রাখতে দেখা গেল। পাশাপাশি ট্রেনের চাকাগুলিতে ব্লক লাগানো হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনা এড়াতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ল্যান্ড ফলের সময় এই সাইক্লোনের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, রিমেল কি স্তব্ধ ট্রেনের চাকা গড়িয়ে দিতে সক্ষম? যদিও এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য কুমার চৌধুরী বলেন, ‘, এটি নতুন কোনও বিষয় নয়। যে ট্রেনগুলিকে ইঞ্জিন ছাড়া ২৪ ঘণ্টার বেশি ট্র্যাকে রাখতে হয় সেগুলিকে এভাবে লক করে রাখা হয়। রিমেলের জন্য ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ফলে কোনওভাবে ট্রেনের চাকা গড়িয়ে গেলে তা থামানো অত্যন্ত সমস্যার হয়ে যায় এবং যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই কারণে সুরক্ষার জন্য এভাবে চেন দিয়ে আটকে রাখা হয়।’

উল্লেখ্য, রিমেলের ফলে কলকাতা, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে বৃষ্টিপাত চলছে। রবি এবং সোমবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিকে কাঁচা বাড়িগুলি থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেল্টার হোমে।

Cyclone Remal Landfall : আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় রিমেল, উত্তাল নদী থেকে সমুদ্র

এদিকে চিন্তায় ঘুম উড়েছে সুন্দরবনের বাসিন্দাদের। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অতীতে আমফান, আইলা, বুলবুলের মতো ঘূর্ণিঝড় প্রত্যক্ষ করেছেন সুন্দরবনের বাসিন্দারা। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে প্রচুর। নদীর বাঁধ ভেঙে চাষের জমিতে ঢুকেছে নোনা জল। স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে সাইক্লোনের নামে বুক কাঁপছে এলাকাবাসীর।
ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘রিমেল’, কলকাতা সহ জেলাগুলিতে কী প্রভাব? জানাল আলিপুর

ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই হাসনাবাদে ইছামতি নদীর বাঁধে নেমেছে ধস। গ্রামের মানুষরাই তা মেরামত করার জন্য হাত লাগিয়েছেন। জানা গিয়েছে, আংনারায় প্রায় ৫০ ফুট বাঁধটি ধসে যায়। প্রশাসনের তরফেও তুঙ্গে তৎপরতা। জেলায় জেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। কলকাতা পুরসভা এবং লালবাজারের তরফেও একটি ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *