উল্লেখ্য, আমফান, আয়লা, বুলবুল-এর মত ঘূর্ণিঝড় চোখের সামনে দেখেছেন উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর । বাড়ি ভেঙে পড়েছে, নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম জল জলের তোরে ভেসে গিয়েছে, গ্রাম ছেড়ে থাকতে হয়েছে মাসের পর মাস। তাই আবার ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনে চিন্তায় মাথায় হাত হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবন এলাকার মানুষের। এর মাঝেই হিঙ্গলগঞ্জে কালিন্দীর জোয়ারের জলে ভাঙল নদীবাঁধ। আপদকালীন পরিস্থিতিতে বালির বস্তা ফেলে প্লাবন ঠেকানোর চেষ্টা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে উত্তর দিকে এগোচ্ছে রিমাল ঘূর্ণিঝড়। পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে এটি। ক্যানিংয়ের ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের মংলার দক্ষিণ-পশ্চিমে আছড়ে পড়তে পারে। সে সময়ে তার গতি থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। আজ রাতেই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
ইতিমধ্যে, সন্ধ্যের পর থেকে দুই ২৪ পরগনা, কলকাতায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, নদিয়া জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে জানানো হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। ঝড়ের কারণে সুন্দরবন সহ উপকূলবর্তী এলাকার মানুষেরই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। NDRF টিম ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্যের প্রস্তুতি সেরে রেখেছে।