সোমবার বিষ্ণুপুর কে জি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্ট্রং রুমে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ স্ট্রং রুমের সিসি ক্যমেরা বদল করে স্ট্রং রুমের ভেতরে থাকা ইভিএম বদলের ছক কষেছিল। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই কাজে মদত দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিষয়টি নিয়ে তিনি কমিশনেও অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও জানান।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভার মানুষের রায় ইভিএম বন্দী হয়ে এখন রয়েছে বিষ্ণুপুর কে জি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্ট্রং রুমে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এই স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। বাইরে মোতায়েন রয়েছে রাজ্য পুলিশ। স্ট্রং রুমে কড়া নজরদারি রেখেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও। এদিন আচমকাই বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ স্ট্রং রুমের বাইরে হাজির হন। সেখানে হাজির হয়ে নিজের ফোন থেকে ফেসবুক লাইভ শুরু করেন তিনি। ফেসবুক লাইভে তিনি দাবি করতে থাকেন পুলিশ স্ট্রং রুমের সিসি ক্যমেরা বদল করে আসলে ইভিএম বদলের চেষ্টা করছে। স্ট্রং রুমের পাশে থাকা একাধিক গাড়ি দেখিয়ে সৌমিত্র খাঁ দাবি করতে থাকেন ওই গাড়িতে করেই ইভিএম বদল করার ছক কষেছিল রাজ্য পুলিশ। মূহুর্তের মধ্যে সৌমিত্র খাঁর সেই লাইভ ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। পরে সৌমিত্র খাঁ একই দাবী করে বলেন, এই চক্রান্তে সামিল ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও।
বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি একটি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। স্ট্রং রুম সিসিটিভি ক্যামেরার অধীনে রয়েছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি দলের সামনেই পুলিশের নজরদারি চলছে বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে, সৌমিত্র খাঁ র এই অভিযোগকে উড়িয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল।তাঁর দাবি, গতকাল নিজে স্ট্রং রুম দেখেও এমন অভিযোগ করেননি সৌমিত্র খাঁ। সুজাতা বলেন, ‘আজ যখন নিজের হার সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন, তখন হতাশায় ভুগছেন। হারের দায় নিজের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলতে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’