Calcutta High Court : প্রাইভেট টিউশন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই কোর্টের রায়েও – calcutta high court order to control private tuition of school teachers but no action was taken


এই সময়: রাজ্যের স্কুল-শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও অবস্থা সেই তিমিরেই। জেলায় জেলায় কারা প্রাইভেট টিউশন করেন, সেই সব স্কুল-শিক্ষককে খুঁজে বের করে রিপোর্ট তৈরি করে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট বছরখানেক আগে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি অভিযোগে গত সপ্তাহে আদালত অবমাননার মামলা হয়।প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যে কয়েকটি জেলার স্কুল পরিদশর্করা রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে কোথাও প্রাইভেট টিউশন করেন, এমন কোনও স্কুল শিক্ষকের ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই। রাজ্য মধ্যশিক্ষা পষর্দও মেনে নেয়, গত এক বছরে ন’টি জেলার স্কুল পরিদর্শক এই ব্যাপারে কাজ করলেও তাঁরা প্রাইভেট টিউশন সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য পাননি।

এর পরেই হাইকোর্ট কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকদের নিয়ে এই সমস্যা সমাধানে রূপরেখা তৈরির নির্দেশ দেয়। সেই পরিকল্পনা তৈরি করে আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন নিয়ে আপত্তি বহু দিনের। সেই নিয়ে গত দু’দশকে মাঝেমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-শিক্ষকদের সামাজিক অবমাননার ঘটনাও ঘটেছে। তার পরেও পরিস্থিতির বদল হয়নি। এরই মধ্যে স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন আটকাতে প্রাইভেট টিউটররা সংগঠিত হয়েছেন। রাজ্য প্রাইভেট টিউটরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে কয়েক বছর আগে।

সেই মামলায় গত বছর ১ মে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ওই সংগঠনের তরফে জেলা ধরে ধরে কিছু স্কুলের শিক্ষকের প্রাইভেট টিউশন করার ছবি-সহ প্রমাণ পেশ করা হয়। আদালত অবমাননার মামলায় ওই সংগঠনের হয়ে আইনজীবী এক্রামুল বারি অভিযোগ করেন, হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেও কার্যত শিক্ষা দপ্তর বিষয়টিকে গুরুত্বই দেয়নি।

পড়াবেন কে? শিক্ষকের আকালে ডিআইদের নির্দেশে চরম বিভ্রান্তি
ফলে যে সব জেলায় তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি নিয়েও কোনও পদক্ষেপ করেননি ডিআইরা। তাঁদের গা ছাড়া মনোভাবের জন্যেই স্কুলের শিক্ষকদের কাছে বহু ক্ষেত্রে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে আইনজীবী কোয়েলি ভট্টাচার্য বলেন, ন’টি জেলার ডিআই এই ব্যাপারে রিপোর্ট দিয়েছেন। কিন্তু সেখানে শিক্ষকরা নিজেরা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, তাঁরা প্রাইভেট টিউশন করেন না।

ফলে ডিআইদের রিপোর্টে সেই তথ্যই উঠে এসেছে। যদিও আদালত জানিয়ে দেয়, ২০১৮ সালে শিক্ষকদের জন্যে যে বিধি তৈরি হয়েছে, সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, সরকারের থেকে বেতন নেওয়া কোনও স্কুল-শিক্ষক ব্যক্তিগত আয়ের জন্যে প্রাইভেট টিউশনের মতো কোনও কাজ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা যাবে। কাজেই কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনকে এ বার পদক্ষেপ করতে হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *