Cyclone Remal Live Update,বঙ্গে রিমেলের বলি ৪, এন্টালি-মৌসুনি দ্বীপের পর বর্ধমানে বাবা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু – cyclone remal takes 4 life in west bengal


রাজ্যে সাইক্লোন রিমেলের বলি এক প্রবীণা। এই ঘূর্ণিঝড়ে মৃত বেড়ে ৪। রবিবার রাতে প্রবল ঝড়ে একটি গাছের ভেঙে পড়ে মৌসুনি দ্বীপে বাগডাঙ্গা এলাকায় বাসিন্দা রেনুকা মণ্ডলের রান্নাঘরের ছাদে। অ্যাসবেসটসের ছাদ ভাঙা গাছের ভার নিতে না পেরে হুড়মুড়িয়ে পড়ে যায় যায়। চাপা পড়ে মৃত্যু হয় রেনুকা মণ্ডলের (৮০)।স্থানীয়দের কথায়, এদিন খেতে বসেছিলেন রেনুকাদেবী। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বহু মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কেন বাদ পড়েছিলেন এই প্রবীণা? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘ওই প্রবীণার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পুরো পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। সকলকে সুরক্ষিত জায়গায় সরানো হয়েছে। পাশাপাশি শিবির খোলা হয়েছে।’

অন্যদিকে, বর্ধমানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে মৃত্যু বাবা ও ছেলের। ঘটনাটি ঘটেছে মেমারি থানার অন্তর্গত কলানব গ্রামের কোঙারপাড়ায়। মৃতদের নাম ফড়ে সিং(৬৪) ও তরুণ সিং। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রিমেলের তাণ্ডবে ভেঙে যাওয়া কলা গাছ কাটতে গিয়ে প্রথমে বাবা ফড়ে সিং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এরপর তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে বিপদে পড়েন ছেলেও। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। উল্লেখ্য, রিমালের জেরে প্রচণ্ড ঝড়ে এন্টালির একটি বাড়ির অংশ ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় ১ জনের। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শহর কলকাতার রাস্তা থেকে সেই গাছগুলি সরানোর জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে কলকাতা পুরসভা।

অতীতে একাধিক সাইক্লোনে বিপর্যস্ত হয়েছিল মৌসুনি দ্বীপ। তছনছ হয়ে গিয়েছিল একাধিক হোম স্টে। অতীতের সেই ক্ষত সারিয়ে ধীরে ধীরে পর্যটক ফিরছিল মৌসুনি। রিমেলেও মৌসুনী দ্বীপের বেশ কিছু হোম স্টের বাঁশের বেড়া ভেঙে যায় বলে খবর। পাশাপাশি কয়েকটি টেন্ট বা তাবুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পাশাপাশি ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকার জন্য সোমবার পর্যন্ত পর্যটকদের সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার আবহাওয়ার মতি-গতি দেখার পর ফেরি সার্ভিস চালু করা নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থাৎ আপাতত মৌসুনিতে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ।

সোমবারও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে হতে পারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত। মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে রয়েছে দুর্যোগের সম্ভাবনা।

নদিয়া-মুর্শিদাবাদে লাল সতর্কতা, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে দিনভর দুর্যোগ, হাওয়া বদল কবে?

সোমবার বিকেলের পর থেকে ধীরে ধীরে বৃষ্টি কমবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ দুর্যোগের পরিস্থিতি কমবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *