বিদ্যুতের তার বা পোস্টের উপর গাছের ডাল পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেক জায়গায় জল জমে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। মন্ত্রী জানান, জল জমার কারণে যে সমস্ত এলাকায় কাজ করতে দেরি হচ্ছে সেগুলি হল – সরবেড়িয়া, জেলিয়াখালী, হিঙ্গলগঞ্জ (উত্তর ২৪ পরগনা)। এছাড়াও গোবরডাঙ্গা, সেরাপোল, হারোয়া,, ঠাকুরনগর, গাইঘাটা (উত্তর ২৪ পরগনা), নবদ্বীপ থেকে শ্রীরামপুর, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় কাজের অনেকটা বিলম্ব হয়েছে।
বিদ্যুৎ দফতরের হিসেব অনুযায়ী, এলটি পোল ভেঙে পড়েছিল বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, বোসপুকুর এলাকায়। তবে ৩ টি জায়গাতেই সেগুলি পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। পূর্বাচল মেন রোড, চক গড়িয়া, নয়াবাদ, বনমালী নস্কর রোড, গোপাল মিশ্র রোড, ঠাকুরপুকুর, ঈশান ঘোষ রোড, আন্দুল রোড, মহেশতলা, পানিহাটি, MB রোড, গোরোক্ষবাসি, লিলুয়া, দক্ষিণ বক্সারা, পঞ্চান্ন গ্রাম সহ মোট ৪৯টি জায়গায় এলটি ওভারহেড মেইন লাইনের ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেটা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। তবে, শিবপুর, সাঁকরাইল, সিঁথি, বনহুগলি, বদরা, গোপাল মিশ্র রোড, CPC হসপিটালের কাছে এলটি পোস্ট পুনরুদ্ধার করা যায়নি এখনও। দুর্গা প্রসন্ন পরমহংস রোড, বাঘাযতীন, মুকুন্দপুর, লেকটাউন, রাজকুমার মুখার্জী রোড, শিবরামপুর, লাক্সারপাড়া ওভারহেড তারে এখনও কাজ চলছে।
সোমবার বিকেলে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা কারোর নেই। এরপরেও রিমেলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিরলস কাজের জন্য বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী এবং আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানান তিনি। বিশেষ করে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা তাঁদের জীবন হাতে নিয়ে কাল রাতে ওই দুর্যোগের মধ্যে দিয়েও কাজ শুরু করেছিল।