Fact Check: RSS-এর সমীক্ষায় তমলুকে হারছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? সত্যিটা কী? জানুন – fact check viral letter of rss internal survey predicts loss abhijit gangopadhyay claim in social media is fake


২৫ মে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ দফার ভোট। লোকসভা নির্বাচনে বাংলার অন্যতম হেভিওয়েট কেন্দ্র ছিল তমলুক। এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের বিষয়ে রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘের করা এক সমীক্ষায় তমুলকের বিজেপি প্রার্থী তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় পরাজিত হতে চলেছেন বলে দাবি করে এক চিঠি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই দাবি কি সঠিক? ফ্য়াক্ট চেকে উঠে এসেছে সত্যিটা।বুমকে RSS-এর তাম্রলিপ্ত বিভাগের সংঘ চালক গৌরহরি সামন্ত জানিয়েছেন, চিঠিটি ভুয়ো। তাঁদের সংগঠনে জলন্ধর মাহাতো নামের কোনও সদস্যও নেই। দেখুন ভাইরাল সেই চিঠি। একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে ছবিটি।

কী লেখা হয়েছে ভাইরাল চিঠিতে?
ভাইরাল ওই চিঠিতে বাংলার প্রদেশ প্রচারক ‘জলন্ধর মাহাতর’ নামে জনৈক ‘নবারুণ’-এর উদ্দেশ্যে লেখা হয়, ‘প্রিয় নবারুণ, আশা করি তুমি, তোমার পরিলার ও সঙ্ঘের সম্পূর্ণ পরিবার ভালো আছে। এখনও তুমি আমাদের লড়াকু মনোভাবটা বজায় রেখেছো। তোমার চিঠির প্রত্য়ুত্তরে তোমায় জানাই আমাদের সমীক্ষায় তমলুক লোকসভা কেন্দ্র বিজেপি আর জিততে পারবে না।’

ওই চিঠিতে বিজেপি প্রার্থীর পরাজয়ের উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, “এর মূলত দু’টি কারণ, একটি যেটি তুমি আমায় আগেই জানিয়েছ অর্থাৎ আমাদের প্রার্থী, যাঁর সম্প্রতি কয়েকটা বক্তব্য এবং তাঁর ‘বাবুয়ানা’ আমাদের এই লোকসভাটি হেরে যাওয়া নিশ্চিত করেছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে অমিতবাবুকে আগেই বলেছিলাম যে, এই রকম একটি ডেঁপো লোক আমাদের সংগঠনটি নষ্ট করবেন, কিন্তু শুভেন্দুর পৃষ্ঠপোষকতায় এই আসনটিতে অভিজিৎ বিরাজমান হন। এঁর আদবকায়দা এবং কথার ধরনে আমরা বীতশ্রদ্ধ। শুভেন্দু একাই নিজেকে ভেবে নিয়েছেন এই জয়ের কাণ্ডারি। তাই সময় হয়েছে ওঁকে আদি সনাতনী শক্তি দেখানোর।” এছাড়াও ভাইরাল চিঠিতে ‘নবারণ’-এর উদ্দেশ্যে ‘সনাতনী সত্তাতে বিশ্বাস’ রাখার পাশাপাশি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করার বার্তা যাতে ‘পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে পালন’ করা হয় সেই অনুরোধও করা হয়েছে।

সত্যিটা কী?
ভাইরাল চিঠির বিষয়ে জানতে পূর্ব মেদিনীপুরের RSS-এর তাম্রলিপ্ত বিভাগের সংঘ চালক গৌরহরি সামন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। গৌরহরি এই বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, এটি ভুয়ো চিঠি। তাঁর অভিযোগ সংঘের বিষয়ে অপ্রচারের উদ্দেশ্যে এমন চিঠি ছড়ানো হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গৌরহরি বলেন, ‘এটা ভুয়ো খবর। কোনও রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা সংঘের কাজ নয়। জলন্ধর মাহাত বলে আমাদের কোনও সদস্যও নেই। কোথা থেকে নাম পেয়েছে জানি না।’ এছাড়াও এই বিষয়ে RSS-এর তাম্রলিপ্ত বিভাগের তরফে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া গিয়েছে।

কী লেখা হয়েছে তাম্রলিপ্ত বিভাগে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে?
সংঘের তাম্রলিপ্ত বিভাগে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, “বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভুয়ো ‘লেটার হেড’ তৈরি করে সংঘের মাননীয় সহক্ষেত্র প্রচারকের নাম ভুলভাবে ব্যবহার করে বাংলায় টাইপ করা একটি চিঠি তমলকু লোকসভা এলাকায় বিভিন্ন স্থানে রাতের অন্ধকারে বিলি করা হচ্ছে। এই বিবৃতিতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যয়ায়ের উদ্দেশ্যে একটি কাল্পনিক ‘চিঠি’ লেখা হয়েছে এবং সেই চিঠির প্রেরক হিসেবে জৈনক ‘জলন্ধর মাহাত’র নাম ব্যবহার করা হয়েছে। সংঘের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে সংঘ একটি সামাজিক সংগঠন এবং সংঘ কোনও রাজনৈতিক দলের আভ্যন্তরীন বিষয়ে কখনও হস্তক্ষেপ করেন না। ‘জলন্ধর মাহাত’ নামে সংঘের কোনও কার্যকর্তা এই রাজ্যে বা অন্যরাজ্যে নেই। এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়ো চিঠি। সংঘ এই ধরনের অপ্রচার বন্ধ করে শীঘ্র আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”

দেখুন সেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সিদ্ধান্ত
ভাইরাল চিঠির সঙ্গে RSS-এর তাম্রলিপ্ত বিভাগের লেটারহেডের কোনও বৈশিষ্যগত সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। সবকিছুর থেকেই প্রমাণিত হয় ভাইরাল চিঠিটি ভুয়ো।

(This article was first published by Boom and later translated and edited by Ei Samay Digital as part of Shakti Collective.)



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *