দামি চারচাকা কেনার সামর্থ্য নেই। কিন্তু মনে আছে সাধ। আর মনের সেই সাধ থেকেই সাড়ে তিন লাখ টাকায় জিপ গাড়ি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন নদিয়ার টোটো মিস্ত্রি সাগর সর্দার। সম্পূর্ণ গাড়ি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬ মাস। সাগরের গাড়ি এখন গোটা এলাকায় ‘সুপার হিট’।ছোট থেকেই গাড়ি তৈরির শখ ছিল সাগর সর্দারের। পেশায় তিনি টোটো মিস্ত্রি। তাই ১৭-১৮ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ি কেনার সামর্থ্য তাঁর নেই। কিন্তু নিজের শখকে মনে চেপেও রাখতে পারেননি। অবশেষে উপায় বের করলেন নিজেই। বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি করতে শুরু করেন গাড়ি। তবে একেবারেই সম্পূর্ণ গাড়িটি তৈরি করে উঠতে পারেননি সাগর। হাতে টাকা এলে, সামর্থ্য মতো কিছু কিছু করে গাড়ির সরঞ্জাম কিনেছেন। আর তাই দিয়েই একটু একটু করে এগিয়ে গিয়েছেন নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষে। অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে।
প্রতিভাবান এই যুবকের বাড়ি মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার জেলার সীমানা লাগোয়া গোপালপুরের বাউসমারি গ্রামে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ছোটবেলা থেকেই দুর্দান্ত প্রতিভা রয়েছে সাগরের। মুহূর্তের মধ্যেই বানিয়ে ফেলতে পারেন বিভিন্ন মডেলের খেলনা গাড়ি। তবে এবার আর খেলনা নয়, একেবারে আসল চারচাকা গাড়ি তৈরি করলেন তিনি। সাগরের স্বপ্ন ছিল, একদিন তিনি নিজে চারচাকা গাড়ির মালিক হবেন। এবার নিজের সেই স্বপ্ন নিজেই বাস্তবায়িত করলেন। নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ ৬ মাসের পরিশ্রম করে তৈরি করলেন ঝকঝকে লাল রঙের একটি জিপ গাড়ি।
প্রতিভাবান এই যুবকের বাড়ি মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার জেলার সীমানা লাগোয়া গোপালপুরের বাউসমারি গ্রামে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ছোটবেলা থেকেই দুর্দান্ত প্রতিভা রয়েছে সাগরের। মুহূর্তের মধ্যেই বানিয়ে ফেলতে পারেন বিভিন্ন মডেলের খেলনা গাড়ি। তবে এবার আর খেলনা নয়, একেবারে আসল চারচাকা গাড়ি তৈরি করলেন তিনি। সাগরের স্বপ্ন ছিল, একদিন তিনি নিজে চারচাকা গাড়ির মালিক হবেন। এবার নিজের সেই স্বপ্ন নিজেই বাস্তবায়িত করলেন। নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ ৬ মাসের পরিশ্রম করে তৈরি করলেন ঝকঝকে লাল রঙের একটি জিপ গাড়ি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দরিদ্র এক পরিবারে বেড়ে ওঠা সাগরের। মা ও ছোট দুই ভাই এবং নিজের স্ত্রীকে নিয়েই তাঁর সংসার। কার্যত অভাব অনটনের মধ্যে দিন কাটে তাঁদের। কিন্তু স্বপ্ন দেখতে ও তা বাস্তবায়তি করার লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে যাননি তিনি। আর সেই লক্ষ্য পূরণ করতে, অল্পবিস্তর দেনা, এমনকী স্ত্রীর গয়না বন্ধক দিয়েও অর্থ জোগাড় করেন সাগর। দীর্ঘ ৬ মাসের পরিশ্রমে সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করেছেন তার স্বপ্নের জিপ গাড়ি।
ইতিমধ্যেই সাগরের এই গাড়ি তৈরির খবর ছড়িয়ে গড়েছে গোটা এলাকায়। অনেকেই ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে তাঁর তৈরি নতুন গাড়ি দেখতে আসছেন। কেউ ছুঁয়ে দেখছেন, তো কেউ আবার একটু চড়েও নিচ্ছেন ব্যাটারিচালিত এই জিপ। আর সাগর নিয়েও জিপ নিয়ে ঘুরছেন ‘টোটো’ করে।