সৈকত সুন্দরী দিঘায় নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানোটাই দস্তুর বলে মনে করেন অনেকে। দোষ কার? এই নিয়ে চাপান উতরের মধ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তায় যে ফাঁক থেকে যাচ্ছে তা মেনে নিয়েছে প্রশাসন, হোটেল মালিকদের সংগঠন। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও অপরাধ আটকাতে পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিথি পোর্টাল চালু করা হলেও প্রযুক্তির ব্যবহারে সমস্যার কারণে অনেক হোটেল মালিক তা চালুই করেননি।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকলেও সম্প্রতি এক মহিলা পর্যটকের ধর্ষণের ঘটনা পুলিশের গাফিলতি সামনে এনেছে। শনিবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে পুলিশ ও নুলিয়াদের নজর এড়িয়ে সমুদ্রস্নানে নেমে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও নির্বাচনের কারণে বৃহস্পতিবার থেকেই হোটেল খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন।
সোমবারও দিঘায় সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তা সত্ত্বেও এদিন দুপুরের পরে পর্যটকরা উত্তাল সমুদ্রে নামার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তাঁদের সরাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় সৈকতে নজরদারির দায়িত্বে থাকা নুলিয়া ও পুলিশকে। কাঁথির মহকুমা শাসক শৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘দু’দিনের জন্য হোটেল খালির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এটা ঠিক। রিমেলে সেরকম ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকায় নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। তবে সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে। মাইকে প্রচারও চলছে।’