Kakoli Ghosh Dastidar : চতুর্থ টার্মেও নিশ্চিন্ত স্ত্রীরোগের বিশেষজ্ঞ – lok sabha election 2024 profile of barasat trinamool candidate kakoli ghosh dastidar


এই সময়: নিজে বিশিষ্ট চিকিৎসক। কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল থেকে পাশ করার পরেও রোগী দেখেননি। তাঁর মূল ফোকাসটাই ছিল চিকিৎসায় গবেষণা। স্ত্রীরোগ, বন্ধ্যত্বের আল্ট্রাসাউন্ড নিয়ে গবেষণায় খ্যাতি রয়েছে। গবেষণার কাজে কয়েক বছর বিদেশেও ছিলেন। তাঁর গবেষণাপত্র দেশ-বিদেশে প্রকাশিত হয়েছে।বিদেশের বহু জায়গায় কনফারেন্সেও যোগ দিয়েছেন। সেই জীবন ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টানে রাজনীতির বৃত্তে এসেছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। প্রথম ধাপে ছাত্র পরিষদ করতেন। সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য কুমুদ ভট্টাচার্য ছিলেন কাকলির জ্যাঠামশাই। তাঁকে দেখেই ছাত্র রাজনীতিতে পা রাখা। তখন ১৯৮৪ সাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন যুব কংগ্রেসে।

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট প্রচারের কর্মী হিসেবে দেওয়াল লেখা, পোস্টার লাগানোর কাজ করতেন কাকলি। মমতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা কাকলি তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ২০০৯ সালে মমতা বারাসত কেন্দ্রে লোকসভার প্রার্থী করেন কাকলিকে। তার পর থেকে পরপর তিনবার এই কেন্দ্র থেকেই তৃণমূলের হয়ে লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। তাঁর শিক্ষা, রাজনীতিতে দক্ষতা এবং বাগ্মিতায় লোকসভার প্রচারের আলোয় চলে আসেন তিনি।

প্রার্থী প্রোফাইল

লোকসভাতেও কাকলি যথেষ্ট ভোকাল। নোটবন্দি, মূল্যবৃদ্ধি, মহিলা সংরক্ষণ-সহ নারী নির্যাতন ইস্যুতে লোকসভা কক্ষে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন তিনি। তাই উত্তরপ্রদেশের হাথরস, উন্নাও থেকে মণিপুরে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সেই রাজ্যগুলিতে গিয়েছেন কাকলি।

বারাসত থেকে চতুর্থবারের জন্যও দল আস্থা রেখেছে কাকলির উপর। বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতির পদে থাকায় সাত বিধানসভার সংগঠনের কোথায় কী খামতি তা ভালোই জানেন তিনি। সেই অনুযায়ী দলের ফাঁকফোকর বুজিয়ে সব স্তরের কর্মীদের প্রচারে নামিয়েছেন। তাঁর সমর্থনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরা নির্বাচনী থিম সং তৈরি করেছেন। গ্রামের ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এলইডি টিভি লাগানো ট্যাবলো গাড়ি নিয়ে প্রচারে ঘুরছেন।

Abhishek Banerjee : মা দুর্গা নিয়ে রাজনীতি নয়, বার্তা অভিষেকের

কাকলির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির স্বপন মজুমদার। কিন্তু বিজেপি প্রার্থীকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি। তাঁর কথায়, ‘তিন টার্মের সাংসদ তহবিলের পুরো টাকাই উন্নয়নে খরচ করেছি। তার ডিটেল পুস্তিকায় ছাপিয়ে ভোটারদের হাতে তুলে দিয়েছি। আমার বিশ্বাস, গত পনেরো বছর মানুষ যে ভাবে আমাকে আশীর্বাদ করেছেন, এ বারও তা পাব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *