তার কারণ, রিমেলের প্রভাবে এই দুই জেলাতেই সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। রিমেলের দাপটে বুথে কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, জেলাশাসকদের কাছ থেকে তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। প্রয়োজনে বিকল্প জায়গায় ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
রিমেলের জন্য দুই ২৪ পরগনা জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বহু স্কুলে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। রবিবার থেকেই সেখানে লোকজন থাকতে শুরু করেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকের বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে। ফলে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির থেকে এখনই তাঁদেরকে সরানো মুশকিল হবে বলে মনে করছে প্রশাসন। সেক্ষেত্রে ওই সব স্কুলে কীভাবে ভোট নেওয়া হবে, সেটাও ভাবাচ্ছে কমিশনকে।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিপর্যয়ের কারণে কারও ভোটার কার্ড হারিয়ে গেলে তিনি বিকল্প প্রমাণপত্র দেখিয়ে যথারীতি ভোট দিতে পারবেন। ফলে বাড়িঘর ভেঙে গেলেও ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা হবে না বলে আশ্বস্ত করছেন কমিশনের কর্তারা। সোমবার দিনভর বৃষ্টি চললেও দুই জেলাতেই হোম ভোটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ভোটারদের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
আগামী ১ জুন রাজ্যের মোট ন’টি লোকসভা আসনের ভোট রয়েছে। এগুলি হলো দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ। এদের মধ্যে রিমেলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের কিছু এলাকা।