Swapan Majumder : শাসকের উর্বর মাঠে বিতর্ক সঙ্গী করে ছুট – lok sabha election 2024 profile of barasat bjp candidate swapan majumder


এই সময়: কুকথায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। কখনও তৃণমূল কর্মীদের চ্যালাকাঠ দিয়ে পেটানোর কথা, কখনও খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই ‘ডাইনি’ বলে আক্রমণ শানাচ্ছেন। ক্ষমতায় এলে তৃণমূল কর্মীদের এনকাউন্টার করা বা থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন একাধিকবার। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বারাসতে তৃণমূলের চেনা পিচে রান করতে প্রার্থী হয়েছেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপির বিধায়ক স্বপন মজুমদার।ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন। বড় হয়ে কনস্ট্রাকশনের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার সূত্রেই ২০০৮ সালে পাড়ি দিয়েছিলেন গুজরাটে। সেখানে বিজেপির প্রভাব থাকায় রাজনীতিও শুরু করেন বিজেপির ঘর থেকেই। ব্যবসার কাজে গুজরাট, মুম্বই যাতায়াত করতেন। পাঁচ বছর কাটিয়ে ২০১৩ সালে পাকাপাকি ভাবে চলে আসেন গোপালনগর থানার পল্লাবাজারের বাড়িতে। স্বপন অকৃতদার। রাজ্যে ফিরে সক্রিয় ভাবে বিজেপি করা শুরু করেন।

প্রার্থী প্রোফাইল

২০১৬ সালে প্রথম বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে যান স্বপন। ২০২১ সালে ফের একই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়ে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক হন। বিজেপির অবিভক্ত সাংগঠনিক জেলা এবং রাজ্য স্তরেও বিভিন্ন পদে ছিলেন। ২০১৯ সালে শান্তনু ঠাকুর সাংসদ হওয়ার পর দলের কর্তৃত্বের দখলদারি নিয়ে তাঁর সঙ্গে সংঘাত বাধে স্বপনের।

ফলে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির রাজনীতিতে শান্তনুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবেই পরিচিত স্বপন। এ বার লোকসভায় সেই স্বপনকেই বারাসত কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে দল। স্বপনের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে এনে খোদ দলের কর্মীরাই স্বপনের বিরোধিতা করেছেন আগাগোড়া।

স্বপনকে ঘিরে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব এতটাই, যে বারাসত থেকে সুময় হিরা নামে অশোকনগরের এক বিজেপি কর্মী প্রার্থিপদে নমিনেশন দিয়েছেন। ফলে বিরোধীদের পাশাপাশি দলের অন্দরেও লড়তে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও পদে পদে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে স্বপনকে।

Kakoli Ghosh Dastidar : চতুর্থ টার্মেও নিশ্চিন্ত স্ত্রীরোগের বিশেষজ্ঞ

অবিভক্ত সাংগঠনিক জেলায় রাজনীতি করলেও, বনগাঁ মহকুমায় রাজনীতি করতেই অভ্যস্ত স্বপন। বারাসত কেন্দ্র বিশেষ করে রাজারহাট এবং বিধাননগর বিধানসভা এলাকা দু’টির রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বপনের কাছে একেবারে অচেনা। সে কথা অবশ্য স্বীকারও করেন স্বপন। তাই, প্রতিপক্ষ কঠিন হলেও যতদূর সম্ভব নরেন্দ্র মোদীর ক্যারিশমাকে কাজে লাগিয়েই ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছেন স্বপন মজুমদার।

তাঁর কথায়, ‘বারাসতের মানুষ বামেদের দেখেছেন। গত ১৫ বছর তৃণমূলকে দেখেছেন। আমার শিক্ষগত যোগ্যতা যা রয়েছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট। চুরি করে আমায় খেতে হয় না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *