
২০১৬ সালে প্রথম বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে যান স্বপন। ২০২১ সালে ফের একই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়ে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক হন। বিজেপির অবিভক্ত সাংগঠনিক জেলা এবং রাজ্য স্তরেও বিভিন্ন পদে ছিলেন। ২০১৯ সালে শান্তনু ঠাকুর সাংসদ হওয়ার পর দলের কর্তৃত্বের দখলদারি নিয়ে তাঁর সঙ্গে সংঘাত বাধে স্বপনের।
ফলে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির রাজনীতিতে শান্তনুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবেই পরিচিত স্বপন। এ বার লোকসভায় সেই স্বপনকেই বারাসত কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে দল। স্বপনের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে এনে খোদ দলের কর্মীরাই স্বপনের বিরোধিতা করেছেন আগাগোড়া।
স্বপনকে ঘিরে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব এতটাই, যে বারাসত থেকে সুময় হিরা নামে অশোকনগরের এক বিজেপি কর্মী প্রার্থিপদে নমিনেশন দিয়েছেন। ফলে বিরোধীদের পাশাপাশি দলের অন্দরেও লড়তে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও পদে পদে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে স্বপনকে।
অবিভক্ত সাংগঠনিক জেলায় রাজনীতি করলেও, বনগাঁ মহকুমায় রাজনীতি করতেই অভ্যস্ত স্বপন। বারাসত কেন্দ্র বিশেষ করে রাজারহাট এবং বিধাননগর বিধানসভা এলাকা দু’টির রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বপনের কাছে একেবারে অচেনা। সে কথা অবশ্য স্বীকারও করেন স্বপন। তাই, প্রতিপক্ষ কঠিন হলেও যতদূর সম্ভব নরেন্দ্র মোদীর ক্যারিশমাকে কাজে লাগিয়েই ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছেন স্বপন মজুমদার।
তাঁর কথায়, ‘বারাসতের মানুষ বামেদের দেখেছেন। গত ১৫ বছর তৃণমূলকে দেখেছেন। আমার শিক্ষগত যোগ্যতা যা রয়েছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট। চুরি করে আমায় খেতে হয় না।’