সিএমডি সমীরণ দত্ত আরও জানান, কোল ইন্ডিয়ার নিয়ম অনুযায়ী জমিদাতাদের চাকরি ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে বিসিসিএল। দুই একর জমি পিছু জমিদাতার পরিবারের একজন চাকরি পাবেন। সিএমডি বলেন, ‘এই দুই প্রকল্পে প্রায় দেড় হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এর জেরে স্থানীয় এলাকার যেমন আর্থিক উন্নয়ন হবে তেমনই উৎপাদিত কয়লা থেকে আর্থিক ভাবে লাভবান হবে রাজ্য সরকার।’
অন্য দিকে, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে অনেকেই ধোঁয়াশায় রয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন মা কল্যাণেশ্বরী অ্যান্ড চাপতরিয়া প্রজেক্ট ল্যান্ড লুজ়ার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত এবং হিন্দ মজদুর সভার সংশ্লিষ্ট এরিয়ার নেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘শ্রবণপুরে অন্তত ৮০ একর জমি নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ হবে। তার টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখানকার সব জমির মালিকরা জানেনই না যে তাঁদের জমিতে কয়লাখনি তৈরি হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জমি-মালিক বলেন, ‘আমি শুনেছি আমার জমিতে কয়লাখনি হবে। কিন্তু এখনও খনি কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। নিয়ম অনুযায়ী চুক্তি না করা হলে কয়লা কাটতে এলে বাধা দেবো।’
এ বিষয়ে সিএমডি-র বক্তব্য, ‘আমরা ইউনিয়ন এবং একাধিক জমিদাতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। যখন যেমন প্রয়োজন হবে তখন সে ভাবেই জমি নেওয়া হবে। আমরা আগাম জমি নিয়ে রাখি না। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কোল ইন্ডিয়ার নিয়ম-নীতি ও নির্দেশ এক্ষেত্রেও মানা হবে। প্রয়োজনে যে কেউ এনিয়ে স্থানীয় জিএম বা আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।’
কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দুই নতুন খনি প্রকল্পে বেশকিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং এলাকার আর্থিক উন্নয়ন হবে। যদি এ ব্যাপারে বিসিসিএল কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনও সহযোগিতা চান তা হলে আমরা নিশ্চয়ই তাঁদের পাশে থাকব।’