জল নিয়ে বিপদ! এবার শিলিগুড়িবাসীকে পুরসভার জল পান করতে নিষেধ করল শিলিগুড়ি পুরনিগম। আগামী ২ জুন অবধি পুরনিগমের জল পান করতে মানা করা হয়েছে। বুধবারই এই ঘোষণা করেছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই ঘোষণার পর শহরজুড়ে বাসিন্দাদের চিন্তা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।শিলিগুড়ি পুরসভা সূত্রে খবর, গত প্রায় ১৫ দিন ধরে শিলিগুড়িতে তিস্তা ব্যারেজের কাজ চলছে। এর জেরে নিয়মিত জল সরবরাহ করতে সমস্যা হচ্ছে। এরইমধ্যে জলে বিওডি এর তারতম্যের কারণে এই জল পানের ‘যোগ্য নয়’ বলে জানা গিয়েছে। যে কারণে বুধবার মেয়র শহরবাসীদের কাছে অনুরোধ করেছেন এই জল পান না করতে। তবে দৈনন্দিন কাজে এই জল ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন।
এদিন মেয়র জানান, এখন তিস্তা থেকে জল সরবরাহ হচ্ছে। মহানন্দার জল পাঠানো হচ্ছে। সেই জলে বিওডি বেশি রয়েছে। নতুন করে বুধবার জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। যে রিপোর্ট আসতে পাঁচদিন সময় লাগবে। এরমধ্যে ২ রা জুন বিকালে তিস্তার জল সরবরাহ হতে পারে বলে খবর। যেকারণে ২ রা জুন অবধি পুরনিগমের তরফে যে জল সরবরাহ করা হচ্ছে সেই জল পান করতে মানা করা হয়েছে। তবে রোজ শহরে ১ লাখ জলের পাউচ বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিন মেয়র জানান, এখন তিস্তা থেকে জল সরবরাহ হচ্ছে। মহানন্দার জল পাঠানো হচ্ছে। সেই জলে বিওডি বেশি রয়েছে। নতুন করে বুধবার জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। যে রিপোর্ট আসতে পাঁচদিন সময় লাগবে। এরমধ্যে ২ রা জুন বিকালে তিস্তার জল সরবরাহ হতে পারে বলে খবর। যেকারণে ২ রা জুন অবধি পুরনিগমের তরফে যে জল সরবরাহ করা হচ্ছে সেই জল পান করতে মানা করা হয়েছে। তবে রোজ শহরে ১ লাখ জলের পাউচ বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিন মেয়র জানিয়েছেন প্রতিদিন বরো ভিত্তিক জলের পাউচগুলি পাঠানো হবে। সেই জল পান করতে পারবেন মানুষ। অন্যদিকে, এদিন এই ঘটনার পর সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। পুরনিগমের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। বিকালে হাশমি চকের কাছে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতারা। পানীয় জল নিয়ে কেন মানুষকে এমন বিপদের মধ্যে পড়তে হবে? এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষভ দেখিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ি বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘পানীয় জল যে দূষিত হয়ে গিয়েছে, এরকম একটি ভয়ঙ্কর খবর কেন চেপে রাখা হয়েছিল?’ তাঁর কথায়, মেয়র তাঁর কাজের মধ্যে দিয়েই বারংবার প্রমাণ করছেন যে তিনি সঠিকভাবে মানুষকে পরিষেবা দিতে পারছে না।