Durgapur Thermal Power Station: নতুন ইউনিট গড়তে আবাসন ভাঙা শুরু দুর্গাপুরে, বস্তি উচ্ছেদ স্থগিতই – durgapur dvc thermal power station construction work stopped now


এই সময়, দুর্গাপুর: প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে ৮০০ মেগাওয়াটের সুপার ক্রিটিক্যাল ইউনিট তৈরি করছে ডিভিসি-র দুর্গাপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (ডিটিপিএস)। যে জায়গায় সংস্থার কলোনি রয়েছে সেখানেই তৈরি করা হবে নতুন ইউনিট। সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দিতে হবে বলে নির্দেশ। সেই মতো মঙ্গলবার থেকে কলোনির আবাসন ভাঙার কাজ শুরু করা হয়েছে।প্রথম পর্যায়ে ৫০০টি আবাসন ভাঙা হবে বলে খবর। তবে কলোনির বস্তি এলাকায় এখনও উচ্ছেদ অভিযান চালাতে পারেননি ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। পুনর্বাসন না-পেলে জায়গা খালি করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বস্তির বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, বর্তমানে যেসব আবাসনে কর্মীরা রয়েছেন তাঁদের অন্য আবাসনে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কোনও কর্মী যদি সংস্থার আবাসনে যেতে না চান তা হলে তাঁকে নিজের পছন্দমতো ভাড়াবাড়ি খুঁজে নিতে হবে।

সেক্ষেত্রে বাড়িভাড়া মিটিয়ে দেবে সংস্থা। কলোনির আবাসনগুলি ভেঙে এলাকা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ধাপে ধাপে শুরু হবে নতুন ইউনিট তৈরির কাজ। ওই এলাকায় পুরোনো যে ৪টি বন্ধ ইউনিট রয়েছে সেগুলি কাটিং করার কাজও শুরু করেছে ডিভিসি। পুরোনো ইউনিটের জায়গায় অ্যাশ পন্ড তৈরি হবে বলে খবর। প্ল্যান মোতাবেক পাশেই কয়লা মজুত করার ব্যবস্থা থাকবে।

ডিটিপিএস-এর জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় প্রিয়দর্শী বলেন, ‘পুজোর আগেই পুরো জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। কলোনির আবাসন ভাঙার কাজ কোনও বাধা আসেনি। নতুন ইউনিট তৈরি হলে কর্মীদের বাসস্থানের জন্য দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ডিভিসি-র নিজস্ব জমিতে আবাসন তৈরি করে দেওয়া হবে।’

Durgapur Thermal Power Station : পুনর্বাসনের দাবিতে আগুন, নতুন ইউনিট নির্মাণে বাধা
এদিকে, উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও কলোনির বস্তির বাসিন্দারা এখনও জমি খালি করেননি। এর আগে একাধিকবার পাঁচিল দেওয়ার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বস্তির বাসিন্দারা। পাঁচিলের কংক্রিটের পিলার ভেঙে দিয়ে নির্মাণসামগ্রীতে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটেছে। তাই ফের উচ্ছেদ অভিযান চালালে বস্তিবাসীর বাধার সম্মুখীন হতে হবে ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে।

কারণ, তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পুনর্বাসন না-দেওয়া পর্যন্ত জমি খালি করবেন না। যদিও এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের কথা ভেবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ চাইছে দ্রুত নতুন ইউনিট তৈরির কাজ শুরু হোক। নতুন ইউনিট তৈরি হলে কারখানার আশপাশের গ্রামেরও উন্নয়ন হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা তথা ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার স্বরূপ মণ্ডল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *