কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী-২, পূর্বস্থলী-১, কালনা-২ ব্লকে বিঘের পর বিঘে জমি জুড়ে রয়েছে আমের বাগান। সবথেকে বেশি আমবাগান রয়েছে পূর্বস্থলী-২ ব্লকে। এই ব্লকের প্রচুর মানুষ আমচাষের সঙ্গে যুক্ত। এখানকার হিমসাগর ও অন্যান্য প্রজাতির আমের সুনাম রয়েছে বাজারে। রাজ্য আম উৎসবে পুরস্কারও পেয়েছে পূর্বস্থলীর আম।
তবে এবার পূর্বস্থলীতে আমের ফলন বেশ কম। তার উপর রিমেলে ক্ষতির আশঙ্কায় আমচাষিরা আম পেড়ে নেওয়ায় গাছে আম আর তেমন একটা নেই। আমচাষি ভাসান শেখ বলেন, ‘এবার এক হাজার গাছ লিজ়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু বেশিরভাগ গাছেই আম না-হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছি। বর্তমানে আমের ভালো দর মিলছে। হিমসাগরের পাইকারি দর ৬০ টাকার মতো। কার্বাইড দিয়ে পাকানো, পরিবহণ খরচ ইত্যাদির কারণে সেই আম বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। পরে আরও ভালো দর মেলার সম্ভাবনা থাকলেও রিমেলে ক্ষতির আশঙ্কায় সব আম পেড়ে নিয়েছি।’
পূর্বস্থলীর আর এক আমচাষি স্বপন পালের বক্তব্য, ‘জামাইষষ্ঠীর সময়ে আমের চাহিদা বাড়ে। কিন্তু আমাদের এলাকায় গাছে আর তেমন আম নেই। তাই জামাইষষ্ঠীর সময়ে জোগানের অভাবে আমের দাম আরও চড়তে পারে।’ পূর্ব বর্ধমান জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক সুদীপ কুমার ভকত বলেন, ‘জেলায় এবার আমের ফলন বেশ কম। হিমসাগর একদমই কম হয়েছে। তবে বৃষ্টি যা হয়েছে তাতে আমের ক্ষতি তেমন কিছু হয়নি।’