Monsoon In West Bengal,রিমেল এফেক্টে ঘাঁটবে না বর্ষা, আশায় আবহবিদরা – how auspicious of cyclone rimmel before monsoon in west bengal


এই সময়: আশা বাড়িয়েছে তুমুল বৃষ্টি, আশঙ্কাও! আশা এবং আশঙ্কা—দুইয়েরই নেপথ্যে সদ্য দক্ষিণবঙ্গে হানা দেওয়া ‘তীব্র ঘূর্ণিঝড় রিমেল’। কয়েক দিন পরেই বাংলায় বর্ষা ঢোকার কথা। বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর দখলে। আন্দামান ও নিকোবরে ১৯ মে থেকেই বর্ষা শুরু হয়েছে।এমন আবহে ‘রিমেল’-এর আবির্ভাব বাংলার বর্ষা-ভাগ্যের জন্য কতটা মঙ্গলজনক, এ বার সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তীব্র এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ৪৮ ঘণ্টায় বিপুল বৃষ্টি পেয়েছে দুই বাংলা। তাহলে কি ‘বাংলার জন্য জন্য বরাদ্দ’ জলীয় বাষ্পর ভাঁড়ার খালি করে দিয়ে গেল ‘রিমেল’?

ভয়াবহ তাপপ্রবাহে টানা ২৪ দিন ঝলসানোর পর দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা যদি এমন আশঙ্কা করেও থাকেন, তাহলে কোনও দোষ দেওয়া যায় না। একে তো সর্বোচ্চ তাপমাত্রার বহু রেকর্ড ভাঙচুর হয়েছে এই এপ্রিলেই। এর উপর দক্ষিণবঙ্গ সাধারণত মার্চ ও এপ্রিল মিলিয়ে অন্তত চার-পাঁচটা কালবৈশাখী পায়। এ বছর একটাও কালবৈশাখী হয়নি দক্ষিণবঙ্গে।

আলিপুর হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে কলকাতা গড়ে ৫৫ মিলিমিটারের কাছাকাছি বৃষ্টি পায়। এ বার এপ্রিলে সেই জায়গায় কলকাতা মাত্র ০.৫ মিমি বৃষ্টি পেয়েছে। আবহবিদরা অবশ্য জানিয়েছেন, বৃষ্টি কম হওয়ার অন্যতম কারণ প্রশান্ত মহাসাগরের উপরিতলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকা। এমন অবস্থাকে আবহাওয়া বিজ্ঞানের ভাষায় ‘এল নিনো’ বলা হয়।

তবে, মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত সমুদ্রের জল গরম থাকলেও জুন থেকে সমুদ্রের ঠান্ডা হওয়ার পালা। অর্থাৎ ‘লা নিনা’ অবস্থা শুরু হওয়ার কথা। এমন অবস্থার জন্যই এ বছর বর্ষার চার মাসে গোটা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে বর্ষার ঠিক আগেই দক্ষিণবঙ্গে ‘রিমেল’-এর আবির্ভাব বাংলার বৃষ্টি-ভাগ্যে থাবা বসাবে না তো? মে-র কলকাতা সাধারণত ১২৫ মিমির কাছাকাছি বৃষ্টি পেলেও এ বার ‘রিমেল’-এর দৌলতে ৩৭১ মিমি বৃষ্টি পাওয়ায় মন খুঁতখুঁত করা অসঙ্গত কিছু নয়।

পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটিওরোলজির (আইআইটিএম) জলবায়ু বিজ্ঞানী রক্সি ম্যাথিউ কল বলছেন, ‘আমাদের মডেল অনুযায়ী বর্ষার সিজ়নে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হবে এমন সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ। সেই জায়গায় কম বৃষ্টির সম্ভাবনা মাত্র ১০ শতাংশ। সুতরাং আমরা যথেষ্ট আশাবাদী।’

Cyclone Remal Update : রিমেলের মন্দগতিই ভাসাল দুই বাংলাকে, দুর্যোগ কাটবে দক্ষিণবঙ্গে! সতর্কবার্তা উত্তরে

বঙ্গোপসাগরে ঢুকে আসা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু যদি উত্তর দিকে আচমকা কোনও বাঁক নিয়ে এগোতে শুরু করত, তা হলে কম বৃষ্টির আশঙ্কা থাকত। তবে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।’ পূর্বাভাস রয়েছে, অন্য বছরের মতো ১ জুনের পরিবর্তে এ বছর এক দিন এগিয়ে ৩১ মে থেকেই কেরালায় বর্ষা নেমে যাবে।

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ইতিমধ্যেই মালদ্বীপ পার করেছে বলেই জানাচ্ছে মৌসম ভবন। সুতরাং কেরালার বর্ষা নামা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা শুরু হবে কেরালারও ১০ দিন পরে। মাঝের সময়টায় দক্ষিণবঙ্গে নতুন করে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই মনে করছেন আবহবিদরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *