এর বাইরেও অনেকগুলি রক্তের ক্যান্সার হয় ছোটদের। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নন-হজকিন্স লিম্ফোমা (প্রায় ৭%), হজকিন্স ডিজ়িজ় (প্রায় ৭%), মায়লয়েড লিউকেমিয়া (প্রায় ৭.৫%) ইত্যাদি। মেডিকা-র হেমাটো-অঙ্কোলজি বিশেষজ্ঞ প্রদীপকুমার মণ্ডল এ ব্যাপারে একমত।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ছোটদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্যান্সার রক্তেরই দেখা যায়। বড়দেরও তা নেহাত কম হয় না। বিশেষত ইয়ং অ্যাডাল্টদের মধ্যে। ব্লাড ক্যান্সারের নিরিখে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।’ তিনি জানান, এই অসুখের তালিকায় আছে অ্যাকিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া, অ্যাকিউট ও ক্রনিক মায়লয়েড লিউকেমিয়া ইত্যাদি। তবে চিকিৎসা ব্যয়বহুল হলেও আজকাল প্রায় সব ধরনের রক্তের ক্যান্সারই ঠিক সময়ে ধরা পড়লে ষোলো আনা সেরে যায়। একেই বড় পাওনা বলে মনে করেন তিনি।
আনন্দপুর ফর্টিস হাসপাতালের মেডিক্যাল অঙ্কোলজি বিশেষজ্ঞ দেবপ্রিয় মণ্ডল বলেন, ‘এটা খুবই চিন্তার। এর নেপথ্যে পরিবেশের ভূমিকাও রয়েছে। মারাত্মক দূষণ এবং ডাই, কসমেটিক্স, অজৈব রং ইত্যাদির মতো ক্ষতিকর রাসায়নিকের পাশাপাশি জীবনশৈলীর নেতিবাচক পরিবর্তনও এত বেশি ব্লাড ক্যান্সারের জন্য দায়ী।’
সল্টলেক মণিপাল হাসপাতালের হেমাটোলজি বিশেষজ্ঞ শান্তনু বসু আবার মনে করেন, রক্তের ক্যান্সার বেড়ে যাওয়ার আর একটি অন্যতম কারণ হলো ডায়াগনস্টিক ব্যবস্থার উন্নতি। ফলে রোগ ধরা পড়ছে বেশি। আর জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগী। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নতির জেরে সারছেও আগের চেয়ে বেশি।