Caa Certificate,CAA-তে বাংলার আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব, শেষ দফা ভোটের আগে ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের – central home ministry announce that west bengal applicant to get caa 2 day ahead of election


লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এই নিয়ে রাজনৈতিক জল বিস্তর ঘোলা হয়েছিল। এবার সিএএ-তে বাংলার আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব দিতে শুরু করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হল, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী আবেদনকারীদের দেওয়া হবে শংসাপত্র। উল্লেখযোগ্যভাবে, সেখানে নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেরও। ১ জুন রাজ্য়ে শেষ দফার নির্বাচন। তার আগে এই শংসাপত্র বিলি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।উল্লেখ্য, ১৫ মে প্রথম দফায় কয়েকজন আবেদনকারীর হাতে তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র। তাঁদের মেল মারফত ডিজিটাল শংসাপত্রও দেওয়া হয়েছিল। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হল, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের আওতায় বাংলা, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। রাজ্যের কমিটিগুলির মধ্য দিয়ে তা করা হচ্ছে।

লোকসভা ভোটের ঠিক আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) লাগু করা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন। নির্বাচনী প্রচারে একাধিকবার তিনি দাবি করেছেন, সিএএ এবং এনআরসি সম্পর্কযুক্ত। যদিও পালটা সরব হয়েছে বিজেপিও। নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন, সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। আক্রমণ এবং পালটা আক্রমণে সিএএ নিয়ে তপ্ত হয়েছিল রাজনৈতিক মহল।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ১১ ডিসেম্বর পাশ হয় সিএএ। এই আইন বলে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশের মতো দেশগুলি থেকে অমুসলিম ব্যক্তি যাঁরা ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে ভারতে এসেছেন এবং আশ্রয় নিয়ে পাঁচ বছর এই দেশে রয়েছেন তাঁরা নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সেই সময় দু’টি কক্ষেই এই বিল পাশ হয় এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তা অনুমোদন করেন। কিন্তু, এরপরেও দীর্ঘদিন কার্যকর হয়নি CAA। গত ১১ মার্চ লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র। সেখানে সিএএ লাগু করার কথা বলা হয়েছিল। লোকসঙা নির্বাচনের আগেই দেশজুড়ে কার্যকর করা হবে সিএএ, জানিয়েছিলেন অমিত শাহ।

বিকশিত বাংলার জন্য সমস্ত ক্ষমতা কাজে লাগাব: মোদী

যদিও ভোটের আগে পুরোটাই ‘গিমিক’ বলে দাবি করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এবার বঙ্গে শেষ দফা ভোটের আগে শংসাপত্র তুলে দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *