লোকসভা ভোটের ঠিক আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) লাগু করা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন। নির্বাচনী প্রচারে একাধিকবার তিনি দাবি করেছেন, সিএএ এবং এনআরসি সম্পর্কযুক্ত। যদিও পালটা সরব হয়েছে বিজেপিও। নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন, সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। আক্রমণ এবং পালটা আক্রমণে সিএএ নিয়ে তপ্ত হয়েছিল রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ১১ ডিসেম্বর পাশ হয় সিএএ। এই আইন বলে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশের মতো দেশগুলি থেকে অমুসলিম ব্যক্তি যাঁরা ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে ভারতে এসেছেন এবং আশ্রয় নিয়ে পাঁচ বছর এই দেশে রয়েছেন তাঁরা নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সেই সময় দু’টি কক্ষেই এই বিল পাশ হয় এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তা অনুমোদন করেন। কিন্তু, এরপরেও দীর্ঘদিন কার্যকর হয়নি CAA। গত ১১ মার্চ লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র। সেখানে সিএএ লাগু করার কথা বলা হয়েছিল। লোকসঙা নির্বাচনের আগেই দেশজুড়ে কার্যকর করা হবে সিএএ, জানিয়েছিলেন অমিত শাহ।
যদিও ভোটের আগে পুরোটাই ‘গিমিক’ বলে দাবি করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এবার বঙ্গে শেষ দফা ভোটের আগে শংসাপত্র তুলে দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
