Citizenship Amendment Act,CAA-তে আবেদনের এক মাসের মধ্যেই নাগরিকত্ব পেলেন নদিয়ার বিকাশ, বললেন… – nadia resident bikash mondal receive citizenship certificate after applying in caa


শেষ দফা নির্বাচনের আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে (সিএএ) বাংলায় কয়েকজন আবেদনকারীকে শংসাপত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। প্রথম লটেই ‘নাগরিকত্ব’ পেয়েছেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ থেকে আসা বিকাশ মণ্ডল। অধুনা তাঁর বাস নদিয়ার আসাননগর এলাকায়। বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘গোটা পরিবার নাগরিকত্ব পেয়েছে। ২৯ মে আমরা সার্টিফিকেট পাই।’২০১২ সালে বাংলাদেশের ভিটে-মাটি ফেলে কাঁটাতারের এপারে চলে এসেছিলেন বিকাশ। তারপর থেকে নদিয়াতে বসবাস। সঙ্গে ছিল তাঁর পরিবার। বাবা, মা, স্ত্রী। এখন সংসারে একটি খুদেও রয়েছে। কাগজপত্র ছাড়াই এদেশে পা রেখেছিলেন বলে জানান বিকাশ।

তাঁর কথায়, ‘সংবাদ মাধ্যমেই প্রথম জানতে পারে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এরপর ২৭ এপ্রিল আমি আবেদন করেছিলাম। ২০১৪ সালের আগে ভারতে আসার তথ্য, ছবি, বাংলাদেশের তথ্য এবং একটি হিন্দু সার্টিফিকেট লেগেছিল, যা মায়াপুরের এক প্রভু আমাকে দিয়েছিলেন। এছাড়াও কোর্টের দুটি হলফনামা লেগেছিল। ২৭ মে আমাকে ডাকা হয়েছিল কৃষ্ণনগর পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্টের অফিসে এবং ২৯ মে আমি সার্টিফিকেট পাই।’

কিন্তু, কেন বাংলাদেশের পাট চুকিয়ে ভারতে আসা? এই প্রসঙ্গে বিকাশ ওপার বাংলার সংখ্যালঘুদের হালকে দুষেছেন। তিনি বলেন, ‘ওদেশে জমি-বাড়ি সব ছিল। কিছু বিক্রি করেছি। কিছু ছেড়ে আসতে বাধ্য় হয়েছিলাম। ওখানে হিন্দুরা সুরক্ষিত নয়।’ তাঁর স্ত্রী সাথী বিশ্বাস মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের একটা ছোট ছেলে রয়েছে। ওর কথা ভেবে চিন্তা হত। কিন্তু, এখন আর কেউ আমাদের উদ্বাস্তু বলবে না।’ কেন্দ্র সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘নদিয়ায় নাগরিকত্বের জন্য কতজন আবেদন করেছেন আমার ঠিক জানা নেই। বিজেপি নেতারাই এখনও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেননি। সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা। এসব ওদের পরিকল্পিত নাটক।’

উল্লেখ্য, ২৯ মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানাতে কিছু আবেদনকারীকে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। তবে সেই সংখ্যাটা কত? তা এখনও স্পষ্ট নয়।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সিএএ লাগু করা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরমে ওঠে। কেন এই আইন চালু করার জন্য ভোটের আগের সময়কে বেছে নেওয়া হল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরসি এবং সিএএ সম্পর্কযুক্ত বলেও সরব হয়েছিলেন তিনি। যাঁদের ভোটার কার্ড রয়েছে, তাঁরা সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আলাদা করে নাগরিকত্ব কীসের? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মমতার অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি।

CAA-তে বাংলার আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব, শেষ দফা ভোটের আগে ঘোষণা শাহের মন্ত্রকের

এদিন সিএএতে যে সমস্ত নথিপত্র এক্ষেত্রে চাওয়া হচ্ছে, তা পাওয়াটা একপ্রকার ‘অসম্ভব’ বলে দাবি করেছিলেন সাধারণ মানুষের অনেকেই। রাজ্যে কোনওভাবেই এনআরসি হতে দেবেন না, বুক দিয়ে বঙ্গবাসীকে আগলে রাখার কথা দিয়েছিলেন মমতা। এই নিয়ে তরজার মাঝেই শেষ দফা নির্বাচনের আগে এভাবে কয়েকজনকে সার্টিফিকেট দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *