Lok Sabha Election 2024,ধ্যানে বসবেন নমো, নির্বাচন কমিশনে যাবেন মমতা – lok sabha election 2024 mamata banerjee criticises pm narendra modi at baruipur tmc rally over meditation


এই সময়, নয়াদিল্লি: ২০১৪, ২০১৯-এর পরে আবার ২০২৪। ‘১৪-য় ছত্রপতি শিবাজীর স্মৃতি বিজড়িত প্রতাপগড়ে নরেন্দ্র মোদীকে ধ্যানে বসতে দেখেছিল গোটা দেশ। ওই বছরই প্রথমবার ক্ষমতায় জিতে দিল্লির তখতে এসেছিলেন নমো। পাঁচ বছর পরে ‘১৯-এর লোকসভা ভোটের শেষলগ্নে নরেন্দ্র মোদী ধ্যানে বসেছিলেন কেদারনাথে। এবারও শেষ দফা ভোটের আগে ধ্যানে বসতে চলেছেন নমো।বিজেপি সূত্রের দাবি, আগামী ৩০ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত টানা তিন দিন কন্যাকুমারীর স্বামী বিবেকানন্দ রকে বসে ধ্যান করবেন নমো৷ আর বুধবার এই খবর সামনে আসতেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এদিন মোদীকে তীক্ষ্ণ প্রশ্নবাণে বিঁধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ধ্যান করতে বসলে কেউ কি ক্যামেরা নিয়ে ধ্যান করে? প্রত্যেকবার যেদিন শেষ নির্বাচন, তার আগে কোথাও না কোথাও ঢুকে বসে থাকে, দেখায় ধ্যান করছে৷’

তৃণমূলনেত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন তাঁরা। কংগ্রেসের তরফে রণদীপ সুরজেওয়ালা, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিরা এদিনই দিল্লিতে কমিশনের দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, মোদী ধ্যানে বসতে চাইলে যেন ১ জুন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরে বসেন, তার আগে নয়।

বুধবার বারুইপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এর আগে মোদীর ‘ঈশ্বরের দূত’ মন্তব্য নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমতা। এদিনও সেই সূত্র ধরে তাঁর কটাক্ষ, ‘উনি নাকি ঈশ্বরের দূত! তাই যদি হয়, তাহলে লোকে ওঁর ধ্যান করবে৷ ওঁর নিজের তো ধ্যান করার কোনও প্রয়োজন নেই!’

মমতার সংযোজন, ‘পুরো জায়গাটাকে এয়ার কন্ডিশনড বানিয়ে নেয়৷ উনি সমুদ্রের হাওয়া খেতে খেতে প্রচার চালাবেন! নির্বাচনী প্রচারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কেউ এই ভাবে প্রচার চালাতে পারেন না৷ আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব৷ উনি ধ্যান করতেই পারেন, কিন্তু মিডিয়া তা দেখাতে পারে না৷ এটা নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করবে৷’

PM Narendra Modi : মোদীর ধ্যান-রাজনীতি ও নির্বাচন কমিশন

১ জুন দেশে সপ্তম দফার ভোট হবে। কমিশনের বিধি অনুযায়ী, ভোট শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচারপর্ব শেষ হয়ে যায়। অর্থাৎ আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার পরে আর কোনও প্রচার চালানো যায় না। মমতার অভিযোগ, ওই সময়টাকেও খুব কৌশল করে মোদী প্রচারের কাজে ব্যবহার করছেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী ধ্যানে বসেছেন-এটা সব মিডিয়াই তুলে ধরবে। এখন কমিশন এনিয়ে পদক্ষেপ করে কি না, সেটাই দেখার।

এদিন স্বামী বিবেকানন্দ রকে মোদীর ধ্যানে বসার পরিকল্পনাকে বিঁধে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘ওই জায়গাটা ঋষি অরবিন্দ তৈরি করেছিলেন৷ স্বামী বিবেকানন্দের খুব প্রিয় জায়গা ছিল ওটা৷ আমার খুব দুঃখ হয়-কেন সবাই চুপ করে থাকে, কেন কেউ প্রতিবাদ করে না! আরএসএস ওই জায়গাটা দখল করে নিল!’

Narendra Modi : ট্র্যাডিশন অব্যাহত, বারাণসীতে ভাগ্যপরীক্ষার দিন বিবেকানন্দ রকে ধ্যানমগ্ন মোদী

সিঙ্ঘভি বলেন, ‘আমরা কমিশনকে বলেছি, ৪৮ ঘণ্টার সাইলেন্স পিরিয়ডকে কেউ যেন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রচারে ব্যবহার না-করেন। কেউ মৌনব্রতও রাখতে পারেন। কিন্তু সেটাও যেন ভোটের পরোক্ষ প্রচার না-হয়ে ওঠে, তা দেখতে হবে৷’ যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের কোনও প্রশ্নই ওঠে না৷ তিনি যদি ধ্যানে বসেন, তাহলে বিরোধীদের আপত্তি কোথায়?

এক প্রবীণ বিজেপি নেতার কটাক্ষ, ‘মিডিয়া কী কভার করবে, তা কি এভাবে বেঁধে দেওয়া যায় নাকি? তাহলে তো ভোটের প্রচারপর্ব শেষ হওয়ার পরে কেউ বাইরে হাঁটতে, খেতে যেতেও পারবেন না। বিরোধী নেতারা কি সেটা মেনে চলছেন?’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *