সাইক্লোন রিমেলের প্রভাব পড়বে বর্ষার উপর?
গত রবিবার প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েছিল সাইক্লোন রিমেল। আর এর জেরে দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। রিমেলের প্রভাব কি বর্ষার উপর পড়বে? উঠছিল প্রশ্ন। আবহবিদদের পূর্বাভাস মোতাবেক দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সাইক্লোন রিমেলের টানে অনেকটাই এগিয়ে এসেছে। মলদ্বীপ এবং দক্ষিণ আরব সাগরের বেশিরভাগ অংশেই তা পৌঁছতে চলেছে। ১ জুন নির্ধারিত সময়ে কেরালাতে প্রবেশ করতে চলেছে বর্ষা, পূর্বাভাস এমনটাই।
বাংলায় বর্ষা প্রবেশ করার নির্দিষ্ট সময় ১০ জুন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কবে বঙ্গে প্রবেশ করবে মৌসুমী বায়ু? যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এই নিয়ে এখনও কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মুখ ভার আকাশের। এদিন হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গতকাল অর্থাৎ বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৮ ডিগ্রি কম এবং বৃহস্পতিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৮৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৭৯ শতাংশ।
কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?
বৃহস্পতিবার সেভাবে দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু, জুন মাসের শুরুতে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সঙ্গে কোথাও কোথাও বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। এই জেলাগুলি হল-কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিম ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া। অন্যান্য জেলা গুলিতেও ১ থেকে ৩ জুন দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে।
কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?
বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত এই তিনটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়াও দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হলেও নীচের দিকের জেলাগুলিতে অস্বস্তি বাড়বে।