চোর সন্দেহে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানা এলাকার উত্তরভাগে। ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রের মা বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছে নিহতের পরিবার।জানা গিয়েছে, মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ওই ছাত্র। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি আশ্রমে ঢুকে বিভিন্ন জিনিস চুরি করার অভিযোগ ওঠে। তারপর তাকে আশ্রমে ডেকে পাঠান হয়। সেখানেই তাকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী খবর পেয়ে ওই ছাত্রের মামা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, তাঁকেও মারধর করার অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। যদিও এই বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি আশ্রম কর্তৃপক্ষ।
ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ওই ছাত্রের মা। তিনি বলেন, ‘আমি বাড়ি ছিলাম না, কাজে ছিলাম। কখন গিয়েছে (ছেলে) তাও জানি না। আমার ভাইপো ফোন করে বলে ছেলেকে খুন করা হয়েছে। আমি ছুটে যাই। আমার ছেলেকে যারা মেরেছে, তাদের শাস্তি যেন হয়।’ ওই ছাত্রের মায়ের প্রশ্ন, ‘যে আশ্রমে ৬-৮টা কুকুর থাকে, নিরাপত্তারক্ষী থাকে, কাচ দিয়ে ঘেরা থাকে, দোতলা বিল্ডিংয়ের মতো পাঁচিল থাকে, সেখানে চুরি হয় কী করে?’ ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে আগে কোনওদিন চুরি করার অভিযোগ ওঠেনি বলেও দাবি তার মায়ের।
ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ওই ছাত্রের মা। তিনি বলেন, ‘আমি বাড়ি ছিলাম না, কাজে ছিলাম। কখন গিয়েছে (ছেলে) তাও জানি না। আমার ভাইপো ফোন করে বলে ছেলেকে খুন করা হয়েছে। আমি ছুটে যাই। আমার ছেলেকে যারা মেরেছে, তাদের শাস্তি যেন হয়।’ ওই ছাত্রের মায়ের প্রশ্ন, ‘যে আশ্রমে ৬-৮টা কুকুর থাকে, নিরাপত্তারক্ষী থাকে, কাচ দিয়ে ঘেরা থাকে, দোতলা বিল্ডিংয়ের মতো পাঁচিল থাকে, সেখানে চুরি হয় কী করে?’ ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে আগে কোনওদিন চুরি করার অভিযোগ ওঠেনি বলেও দাবি তার মায়ের।
নিহত ছাত্রের মামা বলেন, ‘আমি অন্ধ্রপ্রদেশে কাজে গিয়েছিলাম। ফিরে বাড়িতে একটু আনন্দ হচ্ছিল। খবর পেলাম ভাগ্নেকে আশ্রমে ধরে নিয়ে গিয়েছে। গিয়ে দেখলাম ভাগ্নের হাত-পা বাঁধা। তাকে মারধর করা হচ্ছে। আমাকেও মারধর করল। পরে শুনলাম থানায় দু’জনকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। তারপরে আমার ভাইপো বলল ওকে (ভাগ্নে) খুন করা হয়েছে।’
এদিকে এই ঘটনার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই আশ্রমে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম চলতে থাকে। সেই বিষয়টি ঢাকতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ঘটনায় পরেই ওই ছাত্রের মা বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নিহতের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। ঘটনার জেরে চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়।