বারুইপুরে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল আশ্রমের মাতাজিকে। এছাড়াও আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত ছাত্রের দেহ এলাকায় পৌঁছতেই ছড়ায় উত্তেজনা। আশ্রমের গেট ভাঙার পাশাপাশি সেখানে ভাঙচুরও চালায় উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ ও RAF ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাতাজি। পালটা তাঁর দাবি, ছাত্রের মামা নিজের ভাগ্নেকে মারধর করেছেন।দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের উত্তরভাগে এক ছাত্রকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় স্থানীয় একটি আশ্রমের মাতাজি ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ওঠে অভিযোগ। ঘটনার প্রেক্ষিতে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনাকে ঘিরে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। দিনভরই ওই আশ্রম ঘিরে রাখেন স্থানীয়রা। আর ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার রাতে দেহ এলাকায় পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। আশ্রমের গেট ভাঙার পর চালান হয় ভাঙুচর।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও RAF। সেই সময় পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান গ্রমবাসীরা। এমনকী পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পরিস্থিতিও তৈরি হয়। এককথায় কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এলাকায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত মাতাজি ছাড়াও আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যদি তিনি নয়, নিজের মামাই ওই ছাত্রকে মারধর করেছেন বলে পালটা দাবি অভিযুক্ত মাতাজির। অন্যদিকে ভাঙচুর ও অশান্তির ঘটনাতেও ৩-৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও RAF। সেই সময় পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান গ্রমবাসীরা। এমনকী পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পরিস্থিতিও তৈরি হয়। এককথায় কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এলাকায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত মাতাজি ছাড়াও আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যদি তিনি নয়, নিজের মামাই ওই ছাত্রকে মারধর করেছেন বলে পালটা দাবি অভিযুক্ত মাতাজির। অন্যদিকে ভাঙচুর ও অশান্তির ঘটনাতেও ৩-৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্র। তার বিরুদ্ধে এলাকার একটি আশ্রমে ঢুকে বিভিন্ন জিনিস চুরি করার অভিযোগ ওঠে। তারপর ওই ছাত্রকে আশ্রমে ডেকে পাঠান হয়। সেখানেই তাকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ছাত্রের মামা। তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ঘটনায় ছাত্রের মা প্রশ্ন তুলেছেন, যে আশ্রমে ৬-৮টা কুকুর থাকে, নিরাপত্তারক্ষী থাকে, কাচ দিয়ে ঘেরা থাকে, দোতলা বিল্ডিংয়ের মতো পাঁচিল থাকে, সেখানে চুরি কী ভাবে হয়?’ ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে আগে কখনও চুরির অভিযোগ ওঠেনি বলেও দাবি তাঁর।