ইতিমধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের থেকে অ্যাকশন টোকেন রিপোর্ট তলব করেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। আহতদের দেখতে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। রাতে আহতদের দেখতে SSKM হাসপাতালে যান অরুপ বিশ্বাস, সায়নী ঘোষ।
আহত এক তৃণমূল কর্মী হাসপাতালের বেডে শুয়েই দাবি করেন, তাঁদের মিছিলে আচমকাই হামলা হয়। একাধিক বোমা মারা হয়। শুধু তাই নয়, নওশাদ সিদ্দিকির দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন শওকত মোল্লা। রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরেই সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করার চেষ্টা করছেন নওশাদ সিদ্দিকি ও তাঁর দলের লোকজন, দাবি তাঁর।
সায়নী ঘোষও তোপ দেগেছেন আইএসএফ-কে। তিনি বলেন, ‘ওদের পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে বুঝেই এই হামলা।’ গোটা ঘটনায় ‘ষড়যন্ত্র’ দেখছেন তিনি। ভোটের আগেই হার মেনে নিয়েছে আইএসএফ, আর সেই কারণে হিংসার পন্থা, দাবি অরূপ বিশ্বাসের। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে নওশাদ সিদ্দিকির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
যদিও এই প্রসঙ্গে আইএসএফ নেত্রী আসমা বিবি পালটা তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এই অশান্তির নেপথ্যে রয়েছেন তৃণমূলের লোকজনেরাই। আইএসএফ-এর নামে দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অতীতে বঙ্গ ভোটের ইতিহাস উলটে দেখলে ভাঙড়ের অস্থির চিত্র সামনে আসে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেও তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। লোকসভা নির্বাচনেও সেই দৃশ্য বদল করা সম্ভব হল না।